মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে হয়েছে ‘যোনি’-র মূর্তি। যা তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ সোনা দিয়েই। দলে দলে সেই মূর্তিতে মাথা ঠেকাতে ছুটছেন ভক্তরা। কী এমন ফল মেলে এই সোনার যোনী-র পুজো করলে? আসুন শুনে নিই।
তন্ত্রচর্চায় যোনিপূজার উল্লেখ রয়েছে। কামাখ্যার মন্দিরে যোনি মূর্তিরও দেখা মেলে। তবে দেশের বাইরেও রয়েছে এক ‘যোনি’ মন্দির। সেখানকার যোনি-র মূর্তিটি সম্পূর্ণ সোনার তৈরি। প্রতিদিন শয়ে শয়ে ভক্ত সেই মূর্তিতে মাথা ঠেকাতে যান। তাঁদের বিশ্বাস, এতেই নাকি বিশেষ ফল মেলে।
আরও শুনুন: যৌনতার থেকেও বেশি তৃপ্তি! ঘণ্টা চারেক এই কাজেই মেতে উঠছেন যুবক-যুবতীরা
নতুন প্রাণ সৃষ্টির আধার যোনি। তাই সেই যোনি-র পুজো করলে শুভাশুভ ফল মেলে। এই বিশ্বাসেই থাইল্যান্ডের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যোনি-মূর্তি। সম্পূর্ণ সোনার তৈরি যোনি মূর্তি। যা দর্শন করতে শয়ে শয়ে মানুষ মন্দিরে ভিড় জমাচ্ছেন। মন্দিরটি মূলত বৌদ্ধধর্মের। যোনি মূর্তির আশেপাশেই রয়েছে একাধিক বৌদ্ধ দেবদেবীর মূর্তি। সেখানকার জনপ্রিয় এক সাধিকায় নিজ উদ্যোগে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর মতে, যোনি থেকেই নতুন প্রাণের জন্ম। তাই সকলেরই যোনিপূজা করা উচিৎ। বৌদ্ধমন্দিরে মূলত একটি বড় আকারের সোনার যোনি রয়েছে। তাকে ঘিরে রয়েছে আরও ৮টি ছোট ছোট যোনিমূর্তি। সেই বেদীতেই নিয়মিত পুজো হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস এখানে মাথা ঠেকালে নাকি বদলে যায় ভাগ্য। আশ্চর্য উপায়ে ধনাগম হয়। বিশেষত যারা সন্তানের আশায় দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন, তাঁরাও এই বেদীতে মাথা ঠেকালে অবশ্যই ফল পান বলেই মনে করেন তাঁরা। শুধু যোনি নয়, পুরুষ যৌনাঙ্গের মূর্তিও রয়েছে এই বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেও অনেকেই পুজো দেন। সাধিকার বিশ্বাস, যৌনঅঙ্গ মাত্রেই তা পূজনীয়। সেই একই বিশ্বাস ভক্তদেরও।
আরও শুনুন: এসি-র বিলে কপালে ঘাম! খরচ কমিয়েও গরমে ঘর ঠান্ডা থাকবে কোন কৌশলে?
তবে প্রথমে যোনি-মূর্তির পাশে একটি বুদ্ধমূর্তিও ছিল। ভক্তের ভিড় দেখে স্থানীয় প্রশাসন মন্দিরটি দর্শণ করতে যান। সেখানে যোনি-র পাশেই বুদ্ধ মূর্তি দেখে আপত্তি জানান তাঁরা। তাই বর্তমানে সেখান থেকে বুদ্ধমূর্তি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার জন্য ভক্তের উৎসাহে কোনও ভাটা পড়েনি। শুধুমাত্র স্থানীয়রাই নন, বাইরে থেকেও অনেকে এই মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হচ্ছেন। সকলেরই বিশ্বাস এখানে পুজো দিলে জীবনে সুখ সমৃদ্ধি ফিরে আসবে।