কর্ণাটকে বড় ধাক্কা খেয়েছে তাঁর দল। কিন্তু তারপরেও ধাক্কা খায়নি তাঁর জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তার বিচারে এখনও এক নম্বরে তিনিই, এক ও অদ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি। তবে একের পর এক বড় চালে কি কিছু সুরাহা হল কংগ্রেসের? এই তালিকার কোথায় আছেন রাহুল গান্ধী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কেবল দেশে নয়, বিদেশেও তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। সম্প্রতি তাঁকে পা ছুঁয়ে অভিবাদন করেছেন পাপুয়া নিউ গিনির প্রেসিডেন্ট। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দেশেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অন্যান্য নেতাদের তুলনায় এগিয়ে মোদিই, এমনটাই দাবি করেছে একাধিক সমীক্ষা। সম্প্রতি এমনই এক সমীক্ষায় দেখা গেল, কর্ণাটকের হারের পরেও সেই জনপ্রিয়তায় বিশেষ আঁচ পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে দেখতে চান দেশবাসী, এই প্রশ্নের উত্তরে অধিকাংশ মানুষই জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির নাম। উলটো দিকে আমজনতার কাছে কংগ্রেস শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য যিনি দেশ জুড়ে পায়ে হেঁটে সফর চালিয়েছেন, কর্ণাটকে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রেও যাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল, সেই রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা ঠিক কতখানি? সমীক্ষা জানাচ্ছে, জনপ্রিয়তার বিচারে খানিক এগিয়েছেন তিনিও। তবে এক নম্বরে মোদি এখনও অপ্রতিরোধ্য বলেই জানাল সমীক্ষা।
আরও শুনুন: খ্রিস্টান হয়েও কেন পা ছুঁয়ে মোদিকে প্রণাম? ব্যাখ্যা দিলেন পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী
গত ১০ মে এবং ১৯ মে দেশের ১৯টি রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে NDTV এবং CSDS। সেই সমীক্ষায় এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে দেশবাসীর প্রথম পছন্দ নরেন্দ্র মোদিই। তবে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছেন রাহুল গান্ধী। দেখা যাচ্ছে মোদির সঙ্গে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়েছেন রাহুল। ওই যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদে মোদিকে পছন্দ দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষের। আর রাহুলকে পছন্দ ২৭ শতাংশ মানুষের। এর আগে রাহুলের জনপ্রিয়তা ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। অর্থাৎ ভারত জোড়ো যাত্রার পর সেটা একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ১৫ শতাংশ। রাহুল সম্পর্কে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট ২৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তাঁরা আগে থেকেই কংগ্রেস নেতাকে পছন্দ করতেন। ১৫ শতাংশ মানুষ বলছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার পর নতুন করে রাহুল সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন তাঁরা। দেশের ৩৪ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে মনে করছেন, মোদিকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলে, তা পারবেন রাহুলই।
তবে ভারত জোড়ো যাত্রা এবং কর্ণাটক নির্বাচনের পরেও, এখনও অব্দি জনপ্রিয়তার শীর্ষে সেই মোদিই। বিজেপির বিরোধী মুখ হিসেবে কংগ্রেসের গুরুত্ব বাড়লেও এখনও যে হাত শিবিরের পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় আসেনি, সে কথাই বুঝিয়ে দিল এই সমীক্ষা।