ধর্মে খ্রিস্টান। তবু হিন্দু রীতি মেনেই পা ছুঁয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়েছেন পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী। কেন এমনটা করলেন তিনি? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মোদির জন্যই প্রথা ভাঙল দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। যেখানে সূর্যাস্তের পর সে দেশে কোনও রাষ্ট্রনেতা গেলে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা দেওয়া হয় না, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাতে বিমান থেকে নামার পরই তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা করে নিয়েছেন খোদ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে। আর তাঁর সেই অভ্যর্থনার ধরন নিয়েই চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সাধারণত দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপর্বে করমর্দন বা আলিঙ্গন করার ছবিই প্রকাশ্যে আসে। তবে এবার একেবারে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল ভিনদেশের এই প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও ধর্মে তিনি খ্রিস্টান। আর পা ছুঁয়ে প্রণাম করা একেবারেই হিন্দু ধর্মের রীতি। তাহলে কেন নিজস্ব ধর্মের রীতি না মেনে নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর ধর্ম অনুযায়ীই অভিবাদন জানালেন পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী? তা নিয়েই চলছে চর্চা।
আরও শুনুন: মোদি নিজেও চাননি ২০০০ টাকার নোট বাজারে আসুক! কে ফাঁস করলেন গোপন কথা?
কিন্তু কেন এমনটা করলেন পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্ন উঠে আসার পরেই তার ব্যাখ্যা এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে। ঠিক কী বলা হয়েছে তাতে? আসছি সে কথাতেই।
পাপুয়া নিউ গিনির অন্তর্গত ওয়েস্ট নিউ ব্রিটেনের গভর্নর সাসিন্দ্রান মুথুভেল প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, বয়োজ্যেষ্ঠ কারও হাঁটু বা পা ছুঁয়ে তাঁকে অভিবাদন জানানো আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আসলে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জুড়েই এই রীতি জারি রয়েছে। এর সঙ্গে কোনও ধর্মবিশ্বাসের যোগ নেই। এটি একেবারেই স্থানীয় সংস্কৃতি। সুতরাং মারাপে যা করেছেন, তা তাঁর দেশীয় সংস্কৃতি মেনেই করেছেন। তাঁর খ্রিস্টান হওয়া না-হওয়ার সঙ্গে এই আচরণের কোনও বিরোধ নেই বলেও জানিয়েছেন মুথুভেল।
আরও শুনুন: নেহরু চেয়েও পারেননি, মুসলিম ‘বোন’দের জন্য তাই করেছেন মোদি! প্রশংসা কেরলের রাজ্যপালের
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলনে যোগ দিতে পাপুয়া নিউ গিনিতে গিয়েছেন মোদি। এমনিতেই বিশ্বমঞ্চে তাঁর জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। তবে এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়ে একেবারেই অন্যরকম অভ্যর্থনা পেলেন তিনি। যে ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মোদির অনুরাগীরাও। তবে এবার স্পষ্ট হল সেই অভ্যর্থনার কারণ।