ফের প্রকাশ্যে বুলডোজার তান্ডব। এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৩৩০টি মাজার। সব গুলিই অবৈধ ভাবে নির্মিত। টানা ৯০ দিন ধরে এই ‘সাফাই অভিযান’ চালানো হয়েছে সরকারি নির্দেশে। কোথায় ঘটেছে এই কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৩৩০টি ‘অবৈধ’ মাজার। তবে এবার আর উত্তরপ্রদেশ নয়। ঘটনাটি বিজেপি শাসিত আরও এক রাজ্য, উত্তরাখণ্ডের। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই টানা তিন মসা ধরে চালানো হয়েছে এই সাফাই অভিযান। আগামীদিনেও কোনওভাবেই দেবভূমিতে জমি-জেহাদের ষড়যন্ত্র রেয়াত করা হবে না, এমনটাই সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পু্ষ্কর সিং ধামি।
আরও শুনুন: বাড়ি ভাঙতে নয়, মেয়ের সংসার গড়তে বুলডোজার উপহার পাত্রীর বাবার
বুলডোজার তান্ডব কোনও নতুন ঘটনা নয়। আগেও একাধিকবার বুলডোজার দিয়ে অবৈধ নির্মান ভেঙে দেওয়ার খবর শোনা গিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে মূলত উত্তরপ্রদেশের কথাই শোনা যেত। অনেকেই সে রাজ্যের যোগী সরকারকে এই কাজের জন্য বাহবা দিত। তবে এবার আর যোগীরাজ্যে নয়। বরং আরও এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে অবৈধ নির্মান ভেঙে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। তাও একটা দুটো নয়। প্রায় ৩৩০টি অবৈধ ভাবে তৈরি হওয়া মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল করবেট টাইগার রিসার্ভ ফরেস্টের ভিতরে। এমনিতে সেই গভীর জঙ্গলে মানুষের প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু ওই মাজারগুলিতে যাওয়ার অনুমতি পেতেন যে কেউ। সরকারি পর্যবেক্ষনের পর দেখা যায়, সেগুলির নির্মানও বৈধ নয়। তাই আইন মেনেই সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি-র দাবি, দেবভূমিতে কোনওভাবেই জবরদখল বরদাস্ত করা হবে না। আগামীদিনেও এই ইস্যুতে একইরকম কঠোর থাকবে রাজ্য সরকার।
আরও শুনুন: শিঙাড়া খাওয়াও ধর্মবিরুদ্ধ! কোন দেশে চালু আছে এই নিয়ম?
আপাতত যে অবৈধ মাজারগুলি ভাঙা হয়েছে সেখানে নতুন কোনও নির্মানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। স্রেফ রিসার্ভ ফরেস্টের ভিতরে থাকা জায়গাগুলিতে বিভিন্ন গাছ লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের এই কর্মকাণ্ড নিয়ে মোটেই খুশি নয় বিরোধী শিবির। সে রাজ্যের গেরুয়া সরকারের বুলডোজার শাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। ১৯৮০ সালের আগে তৈরি মাজারগুলিকে বৈধতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিরোধীদের এই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। গোটা উত্তরাখণ্ড জুড়েই এই কর্মকাণ্ড চলেছে। এমনকি দেবভূমির পাহাড়-জঙ্গলে থাকা দুর্গম অঞ্চলের মাজারগুলিকেও রেয়াত করা হয়নি। ভবিষ্যতেও এমন কিছু তৈরি হলে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।