ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র আধার কার্ড। সরকারি প্রায় সমস্ত কাজেই বাধ্যতামূল আধার। এ ছাড়া অন্যান্য যে কোনও জরুরি কাজে আধার ছাড়া গতি নেই। সেই আধার নম্বরও কিন্তু চিরস্থায়ী নয়। প্রয়োজনে তা নিষ্ক্রিয়ও হয়ে যেতে পারে। কী কী কারণে এমনটা হওয়া সম্ভব? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১২টি ডিজিট। আমাদের আধুনিক জীবনে তার গুরুত্ব অপরিসীম। হ্যাঁ, আধার নম্বরের কথাই বলছি। আধারের মাহাত্ম্য যে ঠিক কতখানি, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কেওয়াইসি ডকুমেন্ট হিসাবে এই মুহূর্তে আধারের গ্রহণযোগ্যতাই সবার উপরে। সেই আধারও কিন্তু নানা কারণে নিষ্ক্রিয় বা ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যেতে পারে।
আরও শুনুন: বিরতি নেই কাজে! ২৭ বছর টানা হাজিরা, কর্মীকে উপহার ৩.২ কোটি টাকা
আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার নানারকম কারণই গোড়া থেকে উল্লেখ করা আছে। যার মধ্যে অন্যতম হল দীর্ঘদিন আধার নম্বর ব্যবহার না করা। ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি-র ক্ষেত্রে আধার জরুরি। আবার প্যানের সঙ্গেও আধার লিংক করার কথা বারবারই বলে সরকার। অনেক সময় আমরা তাতে বিরক্ত হই। কিন্তু এগুলোই আসলে প্রমাণ করে যে, আধার নম্বরটি সক্রিয় আছে। প্রভিডেন্ট ফান্ড বা যে কোনও ধরনের ট্রানজাকশনে যদি দীর্ঘদিন আধার ব্যবহৃত না হয়, তবে এক সময় তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
আরও শুনুন: ছেলের বয়স নাতনির থেকেও কম, একসঙ্গে দুজনকে স্তন্যপান করান মহিলা
আবার আধার তৈরির সময় প্রত্যেক ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ডেটা নেওয়া হয়েছিল, তা সকলেই জানেন। সেই তথ্যে যদি কোনও গরমিল বেরোয়, তবে আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া একজনের নামে যদি একাধিক আধার নম্বর কোনও কারণে থেকে থাকে, তাহলেও তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকে। শিশু এবং বালকদের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা হতে পারে। ৫ বছরের নিচে যাদের আধার হয়েছে, ৫ পূর্ণ হওয়ার পর তাদের আধার সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করা জরুরি। একই জিনিস প্রযোজ্য ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে আধার যে একবার করানো মাত্রই দায়িত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়। এই কারণেই আধারের স্ট্যাটাস ভেরিভাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এবং নিয়মিত তথ্য আপডেট করাও জরুরি।
আরও শুনুন: পুজো দিলেই সেরে যাবে ক্যানসার, টাইফয়েড… কোথায় আছে এমন মন্দির?
আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে কিনা তা জানার উপায়ও আছে। UIDAI-এর ওয়েবসাইটে আধার ভেরিফাই করার অপশন আছে। সেখানে নিজের আধার নম্বর দিলে, একটি নম্বর দেখানো হয়। তা নির্দিষ্ট জায়গায় লিখলেই একটি পেজ খোলে। আধার নিষ্ক্রিয় হলে এই পেজটি আর খুলবে না। সেক্ষেত্রে নিকটবর্তী আধার সেন্টারে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পুনরায় সক্রিয় করতে হবে আধার।
আরও শুনুন: স্কুলছুট হয়েও কোটিপতি, ২২ বছর বয়সেই অবসর নিলেন যুবক
তবে, এই পরীক্ষা বা ভেরিফিকেশনের কাজটি আরও সহজেও করা যায়। আধার কার্ডে যে কিউ আর কোডটি দেওয়া আছে, তা স্ক্যান করিয়ে নেওয়া যায় mAadhaar app-এর মাধ্যমে। তাতেই যাবতীয় তথ্য মেলে। অর্থাৎ আপনার আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে কিনা, তা QR কোড স্ক্যান করে সহজেই দেখে নিতে পারেন। এই কাজটি জরুরি, তাই ফেলে রাখা উচিত নয়। যে কোনও উপায়ে দেখে নিন, আপনার আধার কার্ডটিও সক্রিয় আছে কিনা।