সম্প্রতি পান থেকে চুন খসলেই বিরোধীদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমনটাই অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। কিন্তু এবার আপাতদৃষ্টিতে তেমনই সামান্য কারণে বেকায়দায় পড়লেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গাড়ি থেকে ঝুলে প্রচার করার কারণে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নামেই অভিযোগ দায়ের করে বসেছেন এক ব্যক্তি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কেরল সফরে গিয়ে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছ থেকেও মিলেছে সহযোগিতার আশ্বাস। কিন্তু সেই কেরল সফরেই যে একেবারে অপ্রত্যাশিত দিক থেকে তাঁকে এমন বেকায়দায় পড়তে হবে, তা কে জানত! বিরোধী দলের থেকে নয়, একজন সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই সরাসরি আইনি হুঁশিয়ারি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কী বিষয়ে? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ধর্ষণের দায়ে জেলবন্দি ছেলে, নির্যাতিতার সন্তানের কাস্টডি চাইলেন ধর্ষকের মা-বাবা
আসলে কোচিতে রোড শো-এর কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে দেখা যায়, একটি গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছেন মোদি। উপস্থিত জনতার দিকে হাত নাড়ছেন তিনি। চলন্ত গাড়ি থেকে শরীরের বেশ কিছুটা অংশ বেরিয়ে রয়েছে তাঁর। গাড়ির দুপাশ দিয়ে সার বেঁধে চলেছেন দেহরক্ষীরা। রাস্তাজুড়ে বিজেপির পতাকা আর মানুষের ভিড়। তাঁদের ফুল ছোঁড়ার দরুন গাড়িটিও ফুলে ফুলে ঢেকে গিয়েছিল। আর এই সব কিছু নিয়েই আপত্তি জানিয়ে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ত্রিশূরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। জয়কৃষ্ণান নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে সেখান থেকে প্রায় ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন মোদি, যা আদতে বেআইনি কাজ। উপরন্তু গাড়ির কাচও ফুলে অনেকটা ঢেকে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর মতে, এর ফলে চালকের সামনের রাস্তা দেখতে অসুবিধে হচ্ছিল, আর তাতে দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব ছিল না। এই সমস্ত কাজের জন্যই খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এবং মোটর ভেহিকল ডিপার্টমেন্ট, দু তরফেই নিজের অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের কাছে তাঁর আরজি, সমাজের সকলেই যাতে আইনের শাসন মেনে চলে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে কেরল পুলিশ, সেটাই এখন দেখার।