বিলেতে অত্যাচারিত হচ্ছে হিন্দু পড়ুয়ারা। কখনও তাঁদের দিকে ছোড়া হচ্ছে গরুর মাংস, আবার কখনও জোর করা হচ্ছে ধর্মান্তকরণের জন্য। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সমীক্ষায়। ঠিক কী ঘটেছে? আসুন শুনে নিই।
হিন্দু পড়ুয়াদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে বলা হচ্ছে। কখনও তাদের উপর ছোড়া হচ্ছে গোরুর মাংস। আর এর জেরে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে অধিকাংশ পড়ুয়া। ব্রিটেনের কিছু স্কুল সম্পর্কে এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও শুনুন: সংখ্যালঘু হয়েও পাকিস্তানের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় জায়গা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, সে দেশের প্রায় ৫১ শতাংশ পড়ুয়ার সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটছে। অন্তত তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ এমনই। এর ফলে স্কুল পরিবর্তন করতেও বাধ্য হচ্ছে ওই পড়ুয়ারা। অভিযোগ, বিভিন্ন ভাবে তাদের ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হচ্ছে। কখনও বোঝানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মের কোনও সারবত্তা নেই। আবার কখনও এক বিশেষ ধর্মের কথা উল্লেখ করে সাফ বলা হচ্ছে, এটিই আসল ধর্ম। এখানেই শেষ নয়। হিন্দু পড়ুয়াদের দিকে গরুর মাংস ছোড়ার অভিযোগও এসেছে। আর সব কিছুই করছে অন্যান্য পড়ুয়ারা। বলা বাহুল্য ওই বিশেষ ধর্মের পড়ুয়ারা হিন্দুদের নিয়ে যথেষ্ট বিরক্তিই প্রকাশ করেছে। সামগ্রিক ভাবে হিন্দুদের প্রতি ঘৃণাই প্রকাশ পেয়েছে তাদের কথাবার্তায়। যা আরও স্পষ্ট করেছে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রসঙ্গটি। এবং এই প্রবণতা যে নতুন নয় সে কথা বলাই বাহুল্য।
আরও শুনুন: ভিসার জন্য যৌনতার প্রস্তাব পাক দূতাবাসে, ভারতীয় অধ্যাপিকার অভিযোগে নড়েচড়ে বসল পাকিস্তান
তবে এই সমীক্ষা সামনে আসতে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। বিশেষত যে সংস্থা এই সমীক্ষা করেছিল, তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখতে অনুরোধ করেছেন। তাঁদের দাবি, এর প্রভাব ব্রিটেনের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর পড়তে পারে। বিশেষত যেভাবে অত্যাচারিত হওয়ার ভয়ে পড়ুয়ারা স্কুল বদল করছে, তা যথেষ্ট আশঙ্কার বলেই মনে করছেন বিলেতের হিন্দুরা।