নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরা করা হোক অভিষেককেও। কুন্তলের চিঠি বিতর্কে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। পদক্ষেপ ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও। ২০১৪ সালের টেট মামলায় বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাই কোর্টের। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সর্বস্তরে শুরু জোর প্রস্তুতি। আগামী সপ্তাহে জেলাশাসকদের বৈঠকে ডাকল কমিশন। নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাম ছাত্রযুবদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার শিলিগুড়িতে। ফের পিছোল দুয়ারে রেশন মামলার শুনানি। ফের এনকাউন্টার উত্তরপ্রদেশে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছাল ডিএ মামলার শুনানি, হতাশ আন্দোলনকারীরা
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে মন্তব্য কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার একই সুরে জেলবন্দি কুন্তলের অভিযোগ, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকেরা। জেল থেকে ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল। অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির সাযুজ্য খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য বিচারপতির। কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ এবং নিম্ন আদালত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। ইডি ও সিবিআইকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর সাফ কথা, “এই রাজ্যের একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ। এটা এখন অভিযুক্তদের গতে বাঁধা ছক হয়ে দাঁড়িয়েছে।” আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ, কড়া নির্দেশ বিচারপতির। এদিকে এই মন্তব্যকে অভিষেকের চরিত্র হননের চেষ্টা বলে মনে করছে তৃণমূল শিবির। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বিরোধীদের এজেন্ট বলে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
2. ২০১৪ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল মামলায় বড়সড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাই কোর্টের। ৬টি ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই দিতে হবে বাড়তি নম্বর। নির্দেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
২০১৪ সালের টেটের ৬টি প্রশ্নে ভুল রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগের যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে প্রশ্নগুলিকে ভুল বলেই চিহ্নিত করে ওই কমিটি। এর প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র মামলাকারীদের ওই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, শুধু মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন? বাড়তি নম্বর সবাইকে দিতে হবে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে পরাজিত হন মামলাকারীরা। এরপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। এবার চাকরিপ্রার্থীদের দাবিই মেনে নিল ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই রায়ের ফলে নতুন করে আরও জটিলতা তৈরি হল পর্ষদে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।