পুরুষের যৌনজীবনে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিশ্চিতই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দৈর্ঘ্যের সামান্য হেরফের যে যৌনজীবনকে ব্যাপক মাত্রায় প্রভাবিত করে তা নয়। তা সত্ত্বেও অনেক পুরুষই পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য একটু বাড়িয়েই বলে থাকেন। কেননা তাঁরা মনে করেন, এতে সঙ্গিনীর মন জয় করা সহজ হবে। তা এবিষয়ে কতটা মিথ্যে বলেন পুরুষরা? আসুন শুনে নিই।
সঙ্গিনীর মন জয় করতে পুরুষদের কসরতের শেষ নেই। নানা ভাবেই প্রিয় নারীকে মোহিত করার চেষ্টা করে থাকেন পুরুষরা। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে তা বেশ চমকপ্রদ। জানা যাচ্ছে, গড়পড়তা পুরুষদের ধারণা যে, পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বেশি হলে অন্তত যৌনতার ক্ষেত্রে নারীদের মন জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। আর এই ধারণা থেকেই অধিকাংশ পুরুষ তাঁদের পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য খানিকটা বাড়িয়েই বলে থাকেন। সমীক্ষা বলছে, এক্ষেত্রে অন্তত ২১ শতাংশ দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে বলার প্রবণতা দেখা যায় পুরুষদের মধ্যে।
আরও শুনুন: ভারতীয় ‘কামসূত্র’ দিল খোঁজ, যৌনতৃপ্তির নতুন উপায় পেয়ে বেজায় খুশি ভিনদেশি মডেল
কিন্তু যদি প্রশ্ন ওঠে, যৌনজীবনের ক্ষেত্রে তা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? হয়তো পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যের হেরফেরে যৌনতায় বিশেষ প্রভাব পড়ে না। আবার একেবারে যে প্রভাব থাকে না, তা-ও কিন্তু নয়। সেই জায়গা থেকেই এই ধারণার জন্ম। তবে এই সমীক্ষা পুরুষমনের বিশেষ বিশেষ দিক নিয়েই নাড়াঘাঁটা করেছে। পুরুষত্ব বা ম্যাসকুলিনিটির ধারণা কি শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে? এবং অর্থের নিরিখে তা কি বদলে বদলে যেতে পারে? সমীক্ষা এই প্রশ্নগুলিরই উত্তরই মূলত খুঁজতে চেয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, পুরুষের কর্তৃত্বের মানদণ্ড অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত হচ্ছে। আর সে ধারণা পুরুষদেরই। এর মধ্যে একদিকে আছে পুরুষের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য। অর্থাৎ পুরুষ কতটা লম্বা, তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে, তেমনই স্পোর্টসে বা অ্যাথলিটক্সে তিনি কতটা সক্ষম তা-ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিচ্ছে। পেশিশক্তি ও ওজনকেও গুরুত্ব দেন পুরুষরা। আর তার সঙ্গেই জায়গা করে নিয়েছে আরও একটি বিষয়, তা হল পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য। এটির উপরও যথেষ্ট গুরুত্ব দেন পুরুষরা। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি প্রায় ২০০ জন পুরুষের উপর এই সমীক্ষা চালান প্রায় ডেনমার্কের গবেষকরা। যার ফলাফল প্রকাশিত হয়, ‘ফ্রন্টিয়ারস অফ সাইকোলজি’ নামে এক জার্নালে। সেখানেই উঠে এসেছে এই অভিনব বিষয়টি।
আরও শুনুন: মানুষ বড় একঘেয়ে! এবার ভিনগ্রহীদের সঙ্গেই সঙ্গম করতে চান জনপ্রিয় পর্নস্টার
মূলত দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয় পুরুষদের। এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তাঁদের অর্থও দেওয়া হয়। এক দলকে দেওয়া হয় বেশি অর্থ, অন্যদের তুলনায় কম। দেখা যাচ্ছে, দুই দলই এই শারীরিক মানদণ্ডগুলি খানিকটা বাড়িয়েই বলেছে। যারা বেশি অর্থ পেয়েছে, তারা তুলনায় কম বাড়িয়ে বলেছে। আর যারা কম টাকা পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বাড়িয়ে বলার প্রবণতা বেশ। অর্থাৎ অর্থের সঙ্গে পুরুষের পৌরষত্বের ধারণা যেমন বদলাচ্ছে, সেই নিরিখেই শারীরিক বৈশিষ্ট্য বাড়িয়ে বলার প্রবণতাও কমছে বা বাড়ছে। অর্থাৎ এই সমীক্ষা স্পষ্টই জানান দিচ্ছে যে, নিজেদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুরুষরা একটু বাড়িয়ে বলতে দ্বিধা করেন না। যৌনতার ক্ষেত্রে যেমন, গড়পড়তা পুরুষ তাঁদের পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ সেমি বাড়িয়েই বলেন। তাতে নারীসঙ্গীর মন জয় সুবিধা হবে বলেই মনে করেন তাঁরা। আর টাকার সঙ্গে এই কর্তৃত্বের সম্পর্কের ধারণাটাও যাচ্ছে বদলে। যাঁরা বেশি অর্থের অধিকারী, তাঁরা এ বিষয়ে তুলনায় কম মিথ্যা বলছেন। অর্থাৎ তাঁদের উত্তর সত্যির অনেকটা কাছাকাছি।
আরও শুনুন: পর্ন দেখেই নিয়মিত অভ্যেস হস্তমৈথুনের! বড্ড ভুল হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
অবশ্য এই তথ্য একেবারেই নতুন কিছু নয় নারীদের কাছে। তাঁরা বলছেন, পুরুষদের এই বাড়িয়ে বলার প্রবণতা তাঁরা বহুকাল ধরেই জানেন। রসিকতা করে তাঁরা তাই জানিয়েছেন, এটুকু জানতে আর সমীক্ষার দরকার পড়ে না।