বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর টুইটের জেরে বিপাকে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। এবার দিল্লি হাই কোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন তিনি। ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য করার বিষয়ে তাঁকে আগাম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আদালত। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি এক টুইটে ভয় না পাওয়ার কথা লিখেছিলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ভয় না পেয়ে নিজের বিবেককে জাগিয়ে রাখার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাস কয়েক কাটতে না কাটতেই সেই অবস্থান থেকে কি পিছু হটলেন বিবেক? দিল্লি হাই কোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়ে যেভাবে নিঃশর্তে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন পরিচালক, তারপরে উসকে উঠেছে এমন জল্পনাই।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: ‘গেরুয়ার অপমান’! মিনি স্কার্টে স্মৃতি ইরানি, রং সেই গেরুয়া দেখেই ফের খোঁচা নেটিজেনদের
আসলে ২০১৮ সালের এক টুইট ঘিরেই বেকায়দায় পড়েছেন বিবেক। এমনিতেই বলিউডে মোদিঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই পরিচালক। কাশ্মীর ফাইলস ছবির মুক্তির পর গেরুয়া শিবিরের জোর সমর্থনে সে কথা আরও স্পষ্ট হয়েছে। এহেন বিবেক যে শাসক দলের বিরোধীদের প্রতি খড়্গহস্ত হবেন, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো আর খোদ বিচারব্যবস্থাকে তোপ দাগা তো এক কথা নয়। মাওবাদী যোগে অভিযুক্ত সাংবাদিক গৌতম নওলাখার মুক্তির ঘটনায় দ্বিতীয় কাজটিই করে বসেছিলেন বিবেক। ২০১৮ সালে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় গৌতম নওলাখার হেফাজত এবং অন্তরিন থাকার রায় নাকচ করেন বিচারপতি এস মুরলীধরন। আর তারপরেই তাঁদের দুজনের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক আছে বলে টুইটে আক্রমণ শানান বিবেক অগ্নিহোত্রী। শুধু তাই নয়, একের পর এক টুইটে তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, গৌতম নওলাখা আসলে বিচারপতির স্ত্রী ঊষা রমানাথনের ঘনিষ্ঠ। এমনকি বিচারপতি মুরলীধরন ও তাঁর স্ত্রী ঊষা রমানাথনের সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কিত ইঙ্গিত করতে ছাড়েননি পরিচালক।
আরও শুনুন: শাহরুখকে ভালবাসা ‘অপরাধ’! পাকিস্তানের অভিনেত্রীর চরিত্র নিয়েই তোপ নেতার
কিন্তু সেই টুইটের জেরেই বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। যার জেরে আইনি ভাবে এফিডেভিট করে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বিবেক। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি দিল্লি হাই কোর্ট। রীতিমতো ভর্ৎসনা করেই তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তবেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করার আগে তিনি যেন সতর্ক থাকেন, সে বিষয়েও পরিচালককে কড়া হুঁশিয়ারি শুনিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।