অন্তর্বাস পরেই মেট্রো সফরে দিল্লির এক তরুণী। আর সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়া জুড়ে। উঠেছে পক্ষে বিপক্ষে কথার ঝড়ও। এহেন ঘটনার পর কী প্রতিক্রিয়া ওই তরুণীর মা-বাবার? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
শুধু অন্তর্বাস পরেই দিব্যি মেট্রোয় চেপে ঘুরেছেন রিদম চানানা। এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল তিনি। পোশাকের দরুন দিল্লির এই তরুণীর সঙ্গে উরফি জাভেদের তুলনাও টেনেছেন অনেকেই। কিন্তু এই গোটা ঘটনায় কী বক্তব্য ওই তরুণীর পরিবারের? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি সে কথাই জানালেন ওই তরুণী।
আরও শুনুন: স্তনযুগল আর বাধা নয়! অন্তর্বাস তো নয়ই, ঊর্ধাঙ্গের পোশাক ছাড়াও স্বচ্ছন্দে প্রকাশ্যে তরুণী
দিন কয়েক আগেই দিল্লি মেট্রোয় স্বল্প পোশাক পরে সফর করেছিলেন তিনি। পরনে ছিল কেবল একটি ব্রালেট এবং চেরা মাইক্রো মিনি স্কার্ট। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কোলে ব্যাগ নিয়ে সিটে বসে ছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু উঠে দাঁড়াতেই বাকি যাত্রীদের চোখ কপালে। নিমেষে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার ভিডিও। শোরগোলের জেরে একটি বিবৃতি পেশ করে যাত্রীদের সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলার অনুরোধ করে দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষও। কিন্তু এহেন কোনও উপদেশ মেনে নিতে একান্তই নারাজ ওই তরুণী। তাঁর শরীরে তিনি কোন পোশাক পরবেন, এ সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর বলে মনে করেন রিদম চানানা। এমনকি সেখানে তাঁর পরিবার কী মনে করছে, তা নিয়েও বিশেষ মাথাব্যথা নেই তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কোনও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেই তিনি যোগাযোগ রাখেন না। কাউকে ফোন করেন না, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁদের ব্লক করে রেখেছেন। নিজের পরিবারে রয়েছেন কেবল মা বাবা ও ভাই। এর মধ্যে ভাই তাঁর চেয়ে বেশ কয়েক বছরের ছোট, ফলে এসব ব্যাপারে তার কোনও বক্তব্য এখনও পর্যন্ত নেই। কিন্তু তাঁর বাবা-মা এই ঘটনার জেরে কী বলছেন? তরুণীর সপাট জবাব, তাঁরা অনেক কিছুই দেখছেন, এই ঘটনাও নাহয় দেখে নিলেন। তবে হ্যাঁ, সাধারণ একটি পরিবারের পক্ষে এহেন ঘটনা মেনে নেওয়া যে খুব সহজ নয়, সে কথা তিনি অস্বীকার করেননি। বাবা-মা খুশি হননি যে তা বলাই বাহুল্য। তবে তাঁরা এতটাও অসন্তুষ্ট হননি যে তাঁকে বাড়ি থেকেই বের করে দেবেন, হাসতে হাসতেই জানিয়েছেন দিল্লির উরফি জাভেদ। লোকে কী বলবে, সেসব নিয়ে ভাবতে যে তিনি একেবারেই রাজি নন, সে কথাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন দিল্লির ওই তরুণী।