খুনের জন্য দশ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। সেই আদালতই আবার বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিল আসামিকে, তা-ও আবার প্রেমিকার আরজিতে সাড়া দিয়ে। এই ঘটনা অবাক করেছে অনেককেই। আসুন শুনে নিই ঠিক ঘটেছিল।
খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ১০ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। কিন্তু সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই অভিযুক্ত যুবককে বিয়ের জন্য মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানায় তাঁর প্রেমিকা। তাঁর আবেদন সাড়াও দেয় সংশ্লিষ্ট আদালত। শর্তসাপেক্ষ ভাবেই বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় খুনের দায়ে অভিযুক্ত যুবককে।
আরও শুনুন: খুদের খেয়াল! অনলাইনে ‘ভুল’ করে অর্ডার ৩ লক্ষ টাকার জিনিস, কী হল তারপর?
সম্প্রতি কর্ণাটক আদালতে এমনই অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটিকে বিশেষ অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিচারক। আসলে, কয়েকবছর আগে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হন এই যুবক। আদালতে ১০ বছর কারাবাসের সাজা হয়েছিল তাঁর। এখনও পর্যন্ত ৬ বছর গারদের ওপারে কাটিয়েছেন তিনি। তবে কিছুদিন আগে তাঁর মুক্তির দাবী নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন এক তরুণী। নিজেকে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমিকা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আদালতে অদ্ভুত এক আবদার করেন তিনি। তাঁর দাবি, দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক তাঁদের। কিন্তু প্রেমিক যদি এতদিন জেলে থাকে তাহলে তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যেতে পারে। তাই ওই অভিযুক্ত যুবককে বিয়ে করার জন্য আদালতে তাঁর মুক্তির আবেদন জানান তরুণী। একই আবেদন জানিয়েছিলেন ওই যুবকের মা-ও। তবে এই ভাবে বিয়ের জন্য কাউকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই প্রাথমিক ভাবে তাঁদের সেই আর্জি নাকচ হয়ে যায়। এদিকে ওই তরুণীও নাছোড়বান্দা ছিলেন। বিচারকের কাছে বার বার নিজের দাবির কথা জানাতে থাকেন তিনি। অবশেষে সব দিক বিবেচনা করে সেই আবেদনে সারা দেন স্বয়ং বিচারক। বিভিন্ন শর্ত রেখে ওই যুবককে ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে আবারও জেলে ফিরতে হবে বলেই সাফ জানিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, জেলের বাইরে থাকাকালীন কোনোরূপ অন্যায় করা চলবে না ওই যুবকের। অন্যথায় তখনই কড়া পদক্ষেপ নেবে আদালত।