স্রেফ একটা মাছ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। একই খাবার খেয়ে কোমায় রয়েছেন তাঁর স্বামীও। অথচ রান্না হয়েছিল বাড়িতেই। যেখান থেকে প্রতিদিন মাছ কেনা হয়, সেই দোকান থেকেই আনা হয়েছিল মাছ। তাহলে? কী এমন রহস্য লুকিয়ে এর নেপথ্যে? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, মাছ ছাড়া বাঙালির চলে না। তবে শুধু বাঙালি কেন! মাছ খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়মিত মাছ খাওয়ার চল রয়েছে। পুষ্টিগুণ থাকায় চিকিৎসকেরাও নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই মাছ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। একই খাবার খেয়ে কোমায় রয়েছেন তাঁর স্বামীও।
আরও শুনুন: সবার উপরে মানুষ সত্য! বৃদ্ধ গ্রামবাসীর সঙ্গে মাটিতেই বসে পড়লেন তরুণী IAS অফিসার
ঘটনাটি মালয়েশিয়ার। সে দেশের জনপ্রিয় এক মাছ হল ‘পাফার ফিশ’। স্বাদের কারণে এই মাছ দিয়ে তৈরি যে কোনও পদ খুবই জনপ্রিয়। তবে একইসঙ্গে পাফার ফিস খুবই বিষাক্ত। রান্না করার আগে সঠিকভাবে বিষমুক্ত না করতে পারলেই চরম বিপদ। কিন্তু কেউ যদি বুঝতেই না পারেন ওই মাছ কিনেছেন, তাহলে বিষমুক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। এখানেও ঘটেছে ঠিক তেমনটাই। না বুঝেই বাড়িতে পাফার ফিশ কিনে এনেছিলেন এক ব্যক্তি। সাধারণ ভাবেই সেই মাছ রান্না করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সেই পদ খাওয়ার পরই শুরু হয় বিপত্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজনের শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মহিলার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্যক্তিকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে।
আরও শুনুন: ছড়িয়ে পড়ুক ‘বীরের’ কীর্তি, রাহুল-বিতর্কের আবহেই ‘সাভারকর যাত্রা’ বিজেপির
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর শোকপ্রকাশ করেছেন তাঁদের পরিচিত মহলের অনেকেই। সে দেশের খাদ্য সুরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই জনপ্রিয় মাছটির মধ্যে টেট্রোডটোক্সিন ও সেক্সিটক্সিন নামে দুটি ভয়ঙ্কর বিষ উপস্থিত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফরাই বিষমুক্ত করে এই মাছ রান্না করতে পারেন। তাই খেতে যতই সুস্বাদু হোক, রান্না ঠিকমতো না করলে মৃত্যু অবধারিত। তবে ওই ব্যক্তি নাকি না বুঝে ওই মাছ কিনেছিলেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে সেকথা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। তাঁর মতে, যে দোকান থেকে মাছ কেনা হয় সেটি খুবই পরিচিত। তাই তাঁর বাবা ভালো করে খেয়ালই করেননি কী মাছ কিনছেন। ফলত বিষযুক্ত মাছই খেয়েছেন তাঁরা। আর সুখাদ্য খেতে গিয়ে অজান্তেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গিয়েছেন ওই দম্পতি।