ধরনাতেও অবিচল প্রশাসনিক কর্তব্যে। রামনবমীতে কোনও রকম সাম্প্রদায়িক উসকানি বরদাস্ত নয়। ধরনা-মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। যুব সমাবেশের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সংস্থার। তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- GST-তে সমর্থন ভুল হয়েছিল, সিঙ্গুরে স্বীকারোক্তি মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. রামনবমীর নামে সাম্প্রদায়িক উসকানি বরদাস্ত নয়। রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে বিজেপিকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ, “বিজেপির নেতারা বলে বেড়াচ্ছে রামনবমীর মিছিলে যে অস্ত্র পাব, হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ব। আমি বলছি, আমি রামনবমীর মিছিল আটকাব না। কিন্তু বলে রাখলাম কোনওরকম অশান্তি হলে পালটা মিছিল কিন্তু আমরাও বের করতে পারি।” এরপর আরও স্পষ্ট করে মমতা বলে দেন,”রামনবমীর মিছিলের নামে যদি মুসলিম এলাকায় ঢুকে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে আইন কিন্তু আইনের পথে চলবে।” রামনবমীর মিছিলে আগেও অশান্তির সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বস্তুত, সাম্প্রতিক অতীতে বাংলায় যে গুটিকয়েক সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার অধিকাংশের নেপথ্যে রামনবমীর মিছিলের ভূমিকা ছিল। এবারেও সুপরিকল্পিতভাবে রামনবমীতে অস্ত্র মিছিলের আয়োজন করছে গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন মহলে বিজেপির এই অস্ত্র মিছিল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা রয়েছে। অশান্তির আঁচ যে প্রশাসন করছে, সেটা মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট।
2. আন্দোলনের পথ ধরেই জননেত্রী হিসাবেই তাঁর উত্থান। কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় যখন বঙ্গ জেরবার তখন আবার সেই আন্দোলনের পথেই পা বাড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, বীরবাহা হাঁসদা, ইন্দ্রনীল সেন, জ্যোৎস্না মান্ডি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজাতা মণ্ডল, অরূপ রায়-সহ অন্যান্যরা। একই সঙ্গে এদিন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশ ছিল রেড রোডে। সেই সমাবেশ শেষে ধরনামঞ্চে গিয়ে উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যত সরব হয়েছে মমতা সরকার, বাংলার প্রতি বঞ্চনা তত বেড়েছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছে বিপুল অঙ্কের অর্থ প্রাপ্য রাজ্যের। বারংবার দরবার করেও প্রাপ্য আদায় হয়নি। কেন্দ্রের এই বিমাতৃসুলভ নীতির প্রতিবাদেই মমতার এই ধরনা কর্মসূচি। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, বরং তৃণমূল নেত্রী হিসাবেই তিনি ধরনায় বসেছেন। প্রয়োজনে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির পাশে গিয়ে ধরনায় বসার ক্ষমতা তাঁর আছে। সংবিধান রক্ষা করে দেশ বাঁচানোর আরজি বারংবার করেন মমতা। সে কথা মনে করিয়ে দিয়েই এদিন তাঁর ধরনামঞ্চে রাখা হয়েছিল দেশের সংবিধানের প্রতীক। পাশাপাশি দেখা গেল অভিনব প্রতিবাদও। ধরনা মঞ্চে এবার দেখা গেল ‘বিজেপি ওয়াশিং মেশিন’। দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপিতে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তারই প্রতীক হিসাবে এদিন ধরনামঞ্চে তুলে আনা হ্য ওয়াশিং মেশিনের কাট-আউট। তবে ধরনার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকেও নজর রেখেছেন মমতা। অস্থায়ী মঞ্চ থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ৩০ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে তাঁর এই ধরনা আন্দোলন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।