কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ধরনার আগে সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রী। ‘GST-কে সমর্থন ভুল হয়েছিল’, স্বীকারোক্তি মমতার। শর্তসাপেক্ষে অভিষেকের সভায় ছাড় হাই কোর্টের। সেনার অনুমতি দেওয়া নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের। আবাস যোজনায় বাংলার বঞ্চনার দাবিতেই সায় কেন্দ্রের। ফের বাড়ল প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের সময়সীমা। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ক্ষমা চাওয়ার দাবি সাভারকরের বংশধরের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- রাম-অস্ত্রেই বিজেপিকে পরিবারতন্ত্রের পালটা জবাব প্রিয়াঙ্কার
বিস্তারিত খবর:
1. সিঙ্গুরের ধরনামঞ্চ থেকেই বাংলার মসনদে অভিষেক হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দুদিনের ধরনায় বসার আগে ফের সেখানেই ফিরলেন মমতা। বললেন, “ধরনার আগে একবার সিঙ্গুরের মাটি ছুঁয়ে গেলাম।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিঙ্গুরে গিয়ে ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই বেঁধে দিলেন কেন্দ্রের শাসক দল তথা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুর।
রাজ্যজুড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার ও উন্নয়নের প্রকল্প নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার সুফল পাবে ২২ জেলা। এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। মঙ্গলবার নিজের হাতে সেই প্রকল্পেরই সূচনা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন আরও একবার কেন্দ্রের বঞ্চনার খতিয়ান দিলেন তিনি। কেন্দ্রের দেশজুড়ে জিএসটি পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে তাঁরা ভুল করেছিলেন বলেই এদিন দাবি করলেন মমতা। কেন্দ্রকে বিঁধে তিনি আরও বলেন, এর ফলে রাজ্য থেকে সব টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য বঞ্চিত হচ্ছে, এমনকি ১০০ দিনের টাকাও পাচ্ছে না। রাজ্যের বঞ্চনার পাশাপাশি এদিন আমজনতার ক্ষোভ নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধে তাঁর নতুন স্লোগান, “বাহবা নন্দলাল/ ১১৪৯ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল।” সব মিলিয়ে একাধিক ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. শহীদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় অবশেষে শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেনার অনুমতি মেলার পরেও মঙ্গলবার সভার বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে শহিদ মিনারে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই অবস্থায় কীভাবে সেখানে অভিষেকের সভা হবে? তার জবাবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থানস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে বলে পালটা সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। অবশেষে জট কাটিয়ে মিলল সভার অনুমতি। তবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সাফ বার্তা, সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে। সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। হাই কোর্টের নির্দেশ, সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। নিশ্চিত করতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা। এ ছাড়া সভার পর সভাস্থল পরিষ্কার করা এবং ব্যারিকেড খুলে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ইস্যুতে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, সেনা অভিষেকের বুধবারের সভার অনুমতি দিতে চায়নি। পুলিশ জোর করে সেনার থেকে অনুমতি আদায় করেছে। সভায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে রাজ্য অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।