তারকাদের জন্য তাঁদের অনুরাগীদের অদ্ভুত সব কাজকর্ম করতে দেখা যায়। কিন্তু তা বলে প্রিয় তারকার নামে মন্দির গড়ে ফেলা? হ্যাঁ, বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে এই অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে। কে ইনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দেবদেবীদের পুজো করার উদ্দেশ্যেই মন্দির গড়ে মানুষ। কিন্তু এখানে তেমনটা ঘটেনি। বদলে রক্তমাংসের এক মানুষের নামেই গড়ে তোলা হয়েছে মন্দির। তাও একটি নয়, তিন-তিনটি মন্দির। আজ্ঞে হ্যাঁ, দক্ষিণের এই অভিনেত্রীর নামেই তিনটি মন্দির বানিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। অবশ্য এখানেই শেষ নয়। তাঁকে নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনা এমন মাত্রায় পৌঁছেছিল যে একসময় তাঁকে অপহরণ করার চেষ্টাও করা হয়। শুনতে অবাক লাগছে? কিন্তু সত্যি সত্যিই, এই তারকাকে ঘিরে এতটাই আকুল তাঁর ভক্তরা।
আরও শুনুন: ‘গেরুয়ার অপমান’! মিনি স্কার্টে স্মৃতি ইরানি, রং সেই গেরুয়া দেখেই ফের খোঁচা নেটিজেনদের
এমনিতেই দক্ষিণের তারকাদের নিয়ে তাঁদের ভক্তদের মাতামাতি দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। রজনীকান্তের বিপুল ফ্যান বেস নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। সাম্প্রতিক অস্কার জয়ের পর রামচরণ কিংবা জুনিয়র এনটিআর-দের নিয়েও কম হুলুস্থুল হয়নি। সেই দলেই অনায়াসে ফেলা যায় নমিতা বাঁকাওয়ালা-কে। জন্মসূত্রে অবশ্য তিনি গুজরাতের মেয়ে। কিন্তু অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার পর দক্ষিণের সিনে দুনিয়াতেই নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে ফেলেছিলেন এই অভিনেত্রী। ‘সন্থাম’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তাঁর। এরপর ক্রমে ক্রমে তামিল, তেলুগু, মলয়ালম এবং কন্নড়, চার ভাষার সিনেমাতেই কাজ করতেন তিনি। আর সেই সূত্রেই তিনি এতটাই খ্যাতি অর্জন করেন যে তাঁর নামে একাধিক মন্দির পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেন তাঁর অনুরাগীরা। সেইসব মন্দিরে তাঁর প্রতিমাও স্থাপন করা হয়েছে। ২০০৮ সালে নমিতার ভক্তরা তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে তাঁর একটি মন্দির তৈরি করেন। খুশবু-র পরে নমিতা-ই দ্বিতীয় কোনও অভিনেত্রী, যাঁর নামে তামিলনাড়ুতে মন্দির তৈরি হয়েছে।
আরও শুনুন: শাহরুখকে ভালবাসা ‘অপরাধ’! পাকিস্তানের অভিনেত্রীর চরিত্র নিয়েই তোপ নেতার
২০১২ সালে ভারতের সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে তাঁকে নির্বাচন করে টোকিও টিভি। অবশ্য এহেন নাম যশের মূল্যও চোকাতে হয়েছিল নায়িকাকে। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে তাঁকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল যে কোনও দুষ্কৃতী নয়, তাঁর এক অনুরাগীই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। ভক্তের হাত থেকে সেবার কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।