রাহুলের জন্য এবার সত্যাগ্রহে কংগ্রেস। রাম-অস্ত্রেই প্রিয়াঙ্কার তোপ গেরুয়া শিবিরকে। বাকস্বাধীনতার সঙ্গে কোনও আপস কাম্য নয়। রাহুল মন্তব্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির ভিতরই বার্তা বঙ্গের রাজ্যপালের। নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থীদের নাম প্রকাশ নিয়ে তুঙ্গে উঠল বিতর্ক। আগামী সপ্তাহে দেশ জুড়ে কয়েক হাজার হাসপাতালে চলবে করোনা মোকাবিলার মহড়া। ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় বক্সার নিখাত জারিন। সুইস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় জুটি সত্বিক-চিরাগ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- আদানি নিয়ে প্রশ্ন করবই, সাংসদ পদ খারিজের পরও অনড় রাহুল গান্ধী
আরও শুনুন: 24 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- খারিজ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ, বিজেপিকে একযোগে তোপ মমতা-সহ বিরোধীদের
বিস্তারিত খবর:
1. রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে মেগা সত্যাগ্রহ শুরু করল কংগ্রেস। রবিবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ একাধিক শীর্ষস্তরের কংগ্রেস নেতা রাজঘাটের সামনে জড়ো হন। সেখানে একাধিক ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর দাবি, লাগাতার তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করে যাচ্ছে বিজেপি নেতারা। অথচ তাদের কোনও শাস্তি হয় না। একইসঙ্গে তাঁর এদিনের বক্তব্যে শ্রীরামের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তাঁর কথায়, পরিবারতন্ত্র নিয়ে তাঁদের বরাবর কাঠগড়ায় তোলা হয়। কিন্তু তাঁর মতে, পরিবারের প্রসঙ্গ এলে একই কথা তো ভগবান রামের জন্যও প্রযোজ্য। দুই মহাকাব্য থেকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভগবান রামও তো বনবাসে গিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও নিজের পরিবার ও মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পান্ডবদেরও কি তাহলে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে?” প্রিয়াঙ্কার সাফ কথা, তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। এর জন্য কি তাঁর লজ্জিত হওয়া উচিত? রাজনৈতিক মহলের ধারণা গেরুয়া-শিবিরের রাম-অস্ত্রেই এদিন গান্ধীদের বিরুদ্ধে ওঠা পরিবারতন্ত্রের অভিযোগের সপাট জবাব দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এছাড়া রাহুলের ‘পাপ্পু’ বদনাম নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেসও ছিল রণংদেহি মেজাজে। পুলিশের তরফে এদিনের অবস্থানে অনুমতি ছিল না। এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি ছিল। সেসব উপেক্ষা করেই ধরনা কর্মসূচি চালিয়েছে হাত শিবির। কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুধু রাজঘাটে নয়, রবিবার দেশজুড়েই সত্যাগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ফের বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার সাংবাদিককে অপমান করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কংগ্রেস দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন রাহুল সরাসরি এক সাংবাদিককে বিজেপি কর্মী বলে কটাক্ষ করেছেন। এই মর্মে রাহুলকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে মুম্বই প্রেস ক্লাব।
2. রাহুল গান্ধীর ‘মোদি’ মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। এই আবহেই বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাকস্বাধীনতার সঙ্গে কোনও রকম আপোস হওয়া উচিত নয়।” যদিও এর সঙ্গে কোনওরকম রাজনৈতিক সংযোগ নেই বলেই দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের। এমনকী তাঁকে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বাকস্বাধীনতা নিয়ে আনন্দ বোসের এই বক্তব্য গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার বার্তা হিসেবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কারও নাম না করলেও তাঁর বক্তব্যের আসল টার্গেট যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, তা স্পষ্ট বলেই মত অনেকের। এমনিতে রাজ্যের সঙ্গে নতুন রাজ্যপালের সম্পর্ক ভাল। এখনও পর্যন্ত খুব একটা দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বাকস্বাধীনতার বার্তাতেও প্রায় একই সুর ধরা পড়ল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।