পছন্দের টিম ব্রাজিল। প্রিয় খেলোয়াড় নেইমার। কিন্তু সেসব তো ব্যক্তিগত পছন্দ। পরীক্ষায় যদি মেসিকে নিয়ে লিখতে হয়? তাহলে কী আর লিখবেন না! অন্য কেউ হলে কী করতেন জানা নেই। তবে এক খুদে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মেসি সম্পর্কে সে কিছুই লিখবে না। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
পরীক্ষায় মেসি সম্পর্কে লিখতে বলা হয়েছে। নম্বর রয়েছে ৫। কিন্তু সে তো ব্রাজিল ভক্ত। পছন্দের খালোয়াড় নেইমার। তাই উত্তরের জায়গায় বড় বড় করে লিখে দিয়েছে, ‘আমি ব্রাজিল ভক্ত। মেসিকে একেবারেই ভাললাগে না। তাই এই রচনা আমি লিখব না।’
আরও শুনুন: ভারতের জাতীয় পতাকায় সইয়ের আবদার আফ্রিদির কাছে, কী প্রতিক্রিয়া পাক ক্রিকেটারের?
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক খুদে। কেরলের পুদুপল্লি এলাকার একটি স্কুলে সে পড়াশোনা করে। ছোট থেকেই ফুটবল বলতে সে চিনেছে শুধু ব্রাজিলকেই। এমনিতেই কেরলে ফুটবল নিয়ে মাতামাতি নেহাত কম হয় না। বিশেষত বিশ্বকাপ নিয়ে সে রাজ্যের লোকেদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতোই। কাতার বিশ্বকাপের সময় মেসি-নেইমার-রোনাল্ডোর বিশালাকায় ছবি টাঙানো হয়েছিল সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়। তাই কেরলের অধিকাংশ পরিবারই যে ফুটবলপাগল হবে, সে-কথা বলাই বাহুল্য। তেমনই এক পরিবারের সদস্য ওই খুদে। বাড়ির সবাই নির্ঘাত ব্রাজিল ভক্ত। তাই তার মধ্যেও স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম নিয়েছে ব্রাজিলের প্রতি ভালোবাসা। কিন্তু সেই ভালোবাসার জেরে, সে গোটা একটা রচনাই যে লিখবে না, এমনটা বোধহয় কেউ ভাবেনি। প্রশ্নপত্রে আর্জেন্টাইন তারকার ছবি দিয়ে তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া ছিল। বলা হয়েছিল, সেই তথ্যগুলির সাহায্যে মেসিকে নিয়ে একটা রচনা লিখতে। কিন্তু উত্তরের জায়গায় এই খুদে ব্রাজিল ভক্ত লিখেছে, ‘আমি এই রচনা লিখতে পারবো না’। শুধু তাই নয়, তার আরও সংযোজন, ‘আমি ব্রাজিল ভক্ত। আমার প্রিয় খেলোয়াড় নেইমার। মেসিকে একদম পছন্দ করি না’। আর এমন উত্তরের বহর দেখেই চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষকদের।
আরও শুনুন: ছত্রপতি শিবাজি প্রভাবিত করেছিল তাঁকেও, প্রেরণার কথা জানালেন শচীন
ওই উত্তরের ছবি নেটদুনিয়ায় প্রকাশ করে তার শিক্ষক। সেখানে দেখা গিয়েছে, ব্রাজিলের জার্সি পরে ওই খুদেই তার উত্তরপত্রটা ধরে আছে। ছবিটি দেখার পর শোরগোল পড়েছে নেট্মহলেও। নেটিজেনরা রীতিমতো হাসির রোল তুলেছে তার ওই কাণ্ড দেখে। তবে এ ব্যাপারে কোনও আক্ষেপ নেই ওই খুদের। নম্বর না পেলেও, নিজের মনের কথা লিখতে পেরে সে বেজায় খুশি। বলা বাহুল্য, রোজই আমাদের এমন অনেক কথা বলতে হয় বা এমন অনেক কাজ করতে হয় যা হয়তো ব্যক্তিগত পছন্দের সঙ্গে মেলে না। তবু নিজের ক্ষতি হবে, এই ভেবে সেসব কাজের বিরুদ্ধে কেউ যায় না। তা সে ব্যক্তিগত পছন্দের হোক বা নাই হোক। কিন্তু এই খুদে তেমনটা করেনি। নম্বর পাবে না জেনেও নিজের পছন্দের কথাই সে লিখেছে। যা মনে করাতে বাধ্য, ব্যক্তিগত পছন্দের কথা পরীক্ষার খাতায় এমন সাবলীল ভাবে লিখে ফেলা বোধহয় শিশুদের পক্ষেই সম্ভব।