রমজান মাসে তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন সরকারি কর্মীরা। এমনই ঘোষণা করেছে বিহার সরকার। কিন্তু ওই একই সুযোগ, রামনবমী পালনের জন্য হিন্দুরা কেন পাবেন না? এই প্রশ্নে সরব হয়েছে সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরা। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
রমজান মাস পালনের জন্য মুসলিম কর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বিহার সরকার। জানানো হয়েছে, রমজান মাসে মুসলিম কর্মীরা তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দেওয়ার এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি ফেরার সুযোগ পাবেন। আর এই ঘোষণা শুনেই বেজায় চটেছেন সে রাজ্যের বিজেপি নেতারা। তাঁদের দাবি, রামনবমী পালনের জন্য একই সুযোগ হিন্দুরা কেন পাবে না?
আরও শুনুন: পার্কের ‘থিম’ হিন্দু ধর্ম, ফিটনেস বাড়াতে নারদ-রাবণের সঙ্গেই টক্কর সদস্যদের
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই পবিত্র এই রমজান মাস। গোটা মাস জুড়ে কঠোর নিয়ম পালন করেন তাঁরা। সূর্য ওঠার আগেই সারাদিনের জন্য যাবতীয় খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে হয় তাঁদের। কারণ সূর্য ওঠার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জলপানও নিষিদ্ধ। সূর্যাস্তের পর নমাজ পাঠ। তারপর খাওয়াদাওয়া। যেহেতু সারাদিনের উপবাস, তাই দিনের শেষে খাওয়াদাওয়াটা অনেকেই রাজকীয় ভাবে সারেন। অনেকে আবার এই সময় আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বসে খাবার খান। সেসব কথা মাথায় রেখেই, মুসলিম কর্মীদের জন্য এই বিশেষ নিয়ম জারি করেছে বিহার সরকার। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রমজান মাসে মুসলিম সরকারি কর্মীরা নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে কাজে যোগ দিতে পারেন। আবার অন্যান্য দিন যখন কাজ শেষ হয়, তার এক ঘন্টা আগে বেরনোর সুযোগও পাবেন তাঁরা। তবে কর্মীদের জন্য এমন মানবিক পদক্ষেপ একেবারেই ভালোভাবে নেননি সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও শুনুন: ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ থেকে উত্থান মা কালীর! ভিনদেশির ‘বিকৃত’ ভাবনায় চটে লাল ভারতীয়রা
ওই একইসময় হিন্দুদের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব রামনবমীও পালিত হয়। তাই বিহারের বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট দাবি, হিন্দুদের জন্যও এমন নির্দেশিকা জারি করুক বিহার সরকার। মুসলিম কর্মীদের মতো তাঁদেরও কাজের সময়ে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা হোক, একথা স্পষ্ট জানিয়েছেন বিহারের বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল। অন্যদিকে নেটিজেনদের মধ্যেও এর আঁচ ছড়িয়েছে। বিহার সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ঘিরে নেটিজেনদের একাংশ এমনিতেই সরব হয়েছিলেন। এবার বিজেপির প্রতিবাদের জেরে তাঁদের দাবি আরও জোর পেল।