‘সমাজসংস্কারের সুযোগ পেলে বিধবা বিবাহ আইন চালু করতাম।’ পরীক্ষায় এক প্রশ্নের উত্তরে এমনই জবাব দিয়েছিল ক্লাস ফাইভের পড়ুয়া। এও ক্ষেত্রে সে ঠিক কী কী করত, পরিষ্কার হাতের লেখায় সবটাই গুছিয়ে লিখেছিল সে। সেই লেখার ছবিই এখন রীতিমতো ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। কিন্তু কেন এই কাজটিকে বেছে নিল সে? আসুন শুনে নিই।
সেটা ১৮৫৬। ভারতে বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন করেছে ব্রিটিশ সরকার। গোঁড়া হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে একা লড়ছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আজ এতবছর পরেও এক খুদের উত্তরে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। না, কত সালে বিধবা বিবাহ আইন চালু হয়েছিল সে প্রশ্ন তাকে করা হয়নি। তাহলে?
আরও শুনুন: মাত্রাতিরিক্ত নেশা করাই হল কাল, নিজের বিয়েই ভুললেন বিহারের যুবক, তারপর?
স্রেফ জানতে চাওয়া হয়েছিল সমাজ সংস্কারের সুযোগ পেলে সে কী করবে? তার উত্তরেই বিধবা বিবাহ আইন চালু করার কথা বলেছে এই খুদে। আসলে প্রশ্ন ছিল, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার পূর্বে সমাজসংস্কারক হওয়ার সুযোগ পেতে, তাহলে সমাজে কী পরিবর্তন আনতে?’ এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লেখা ক্লাস ফাইভের পড়ুয়ার পক্ষে বেশ কঠিন। কিন্তু এই খুদে খুবই সুন্দর করে উত্তর লিখেছে। পরিষ্কার হাতের লেখায় সে লিখেছে, ‘সমাজ সংস্কারের সুযোগ পেলে আমি বিধবাবিবাহ আইন চালু করতাম’। এখানেই শেষ নয়। কেন বিধবাদের জন্য এমনটা ভেবেছে সে, সব কিছুই নিজের মতো করে লিখেছে এই খুদে। তৎকালীন সমাজে বিধবাদের কী অবস্থা ছিল, সবই বইয়ে পড়েছে সে। যার প্রভাব পরেছে তার লেখায়। সতীদাহ প্রথা কিংবা বিধবাদের সাদা শাড়ি পরার প্রসঙ্গও নিজের লেখায় উল্লেখ করেছে সে।
আরও শুনুন: বিদেশে গিয়ে দেশের ‘নিন্দা’ করেননি ইন্দিরাও, ঠাকুমার দৃষ্টান্ত দেখিয়েই রাহুলকে তোপ শাহর
আর এই উত্তরের ছবি দেখেই আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া। সকলেই এই খুদের ভাবনা চিন্তার তারিফ করেছেন। কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন রাজা রামমোহন রায়ের কথাও। সন্তানের এমন কীর্তি গর্বের সঙ্গে নেটদুনিয়ায় ভাগ করেছে তার বাবা। সেই ছবিই নেটদুনিয়ার আসল চর্চার বিষয়।