কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়, পার্টিলাইন জানাল তৃণমূল। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নিয়ে জেলায় যাবেন মমতা। অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিলেন মমতা-ই। এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ হাই কোর্টের। লোকসভা ভোটের আগে জোটের প্রয়াস। কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক অখিলেশের। অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত ফেরালেন ধৃত যুবনেতা কুন্তলের টাকা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দিল্লি সফরে রাজ্যপাল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যে ফের ‘দুয়ারে সরকার’, দিনক্ষণ জানাল নবান্ন
বিস্তারিত খবর:
1. পাখির চোখ চব্বিশের নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যও জোর প্রস্তুতি রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে কালীঘাটে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজি বৈঠকের পর পার্টি লাইন ঠিক করে নিল তৃণমূল। এদিন কালীঘাটে দলের জেলা সভাপতি, সভাধিপতি, বিধায়ক ও নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে ২ ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন,
কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ মানবে না তৃণমূল। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ”বিজেপি চাইছে, রাহুলকে মোদির বিরোধী বানাতে। তাতে ওদের ভোটে লড়তে সুবিধা হবে। বিরোধী ভোট একজোট হবে না। আমরা এর মধ্যে নেই।” তাঁর সুরে সুর মিলিয়েই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সাফ কথা, “কংগ্রেস এখানে বিজেপি-সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলাবে। আবার দিল্লিতে যখন দরকার হবে, আমাদের সাহায্য চাইবে। এটা হয় না।” অর্থাৎ, কেন্দ্রবিরোধী লড়াইয়ে ‘একলা চলো’ নীতিতেই আস্থা রাখছে ঘাসফুল শিবির।
এদিকে জেলা স্তরে আরও সংগঠিত হওয়ার জন্য জনসংযোগে জোর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে জনসংযোগ বাড়াতে এবার জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী দু’মাস ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি নিয়ে এভাবেই প্রচার চালাবেন তিনি। আমজনতার সামনে গত ১১ বছরের কর্মসূচির পাশাপাশি তুলে ধরবেন তৃণমূল সরকারের সাফল্যের খতিয়ান। শুধু তাই নয়, সাগরদিঘির হার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার থেকে মাসে অন্তত তিনদিন দলীয় নেতাদের সঙ্গে জেলাভিত্তিক বৈঠকও করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের রাশ নিজের হাতেই রাখতে চাইছেন মমতা, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. কালীঘাটে তৃণমূলের মেগা বৈঠকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকেই জোর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতি ইস্যুতে মুখ খোলার পাশাপাশি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি পালনে সকলকে কড়া বার্তা দেন দলনেত্রী। তাঁর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন দলের বেশ কয়েকজন নেতানেত্রীও। দলের নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মেগা বৈঠকে রদবদল হল দলের অন্দরেই। বর্তমানে দিল্লিতে ইডি হেফাজতে থাকলেও, এখনও খাতায় কলমে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কালীঘাটের বৈঠকে হয়তো বীরভূমের সংগঠনে বদল আসতে পারে বলেই জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে বীরভূমের দায়িত্ব নিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। কালীঘাটের সাংগঠনিক বৈঠকের শেষে বাড়ল বেশ কয়েকজনের সাংগঠনিক দায়িত্বও। স্থির হয়েছে, সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি এবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের সংগঠন দেখভাল করবেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অরূপ বিশ্বাসের কাঁধে দেওয়া হয়েছে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং দার্জিলিংয়ের দায়িত্ব। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের সাংগঠনিক দেখভালের দায়িত্ব মলয় ঘটকের। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাপস রায়কে। তবে দলের তরফে পর্যবেক্ষক বলে কাউকেই ঘোষণা করা হয়নি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে গিয়েছে সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বও। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় এবার সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব সামলাবেন মোশারফ হোসেন। অন্যদিকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভরাডুবির কারণ পর্যালোচনা করতে বিশেষ কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।