মেট্রোর ভিতর ভিডিও বানানোয় কড়া পদক্ষেপ নিল দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অমান্য করলেই হতে পারে কড়া শাস্তি। তবে এই ঘোষণার জেরে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। আসুন শুনে নিই।
চলন্ত মেট্রোর ভিতর কেউ নাচছেন বা গাইছেন। প্রায়শই ভাইরাল হয় এমন ভিডিও। চলতি ভাষায় এর নাম রিলস। সাধারণ ভিডিওর সঙ্গে তফাৎ বলতে দৈর্ঘ্যের। অনধিক ৩০ সেকেন্ডের এই বিশেষ ভিডিও তৈরি করতেই মুখিয়ে থাকেন নেটদুনিয়ার অধিকাংশ। কিন্তু চলন্ত মেট্রোয় এমনটা আর করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার।
আরও শুনুন: ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ থেকে উত্থান মা কালীর! ভিনদেশির ‘বিকৃত’ ভাবনায় চটে লাল ভারতীয়রা
চলন্ত মেট্রো কিংবা অন্য কোনও গাড়ি, ঝুঁকি নিয়ে মোবাইলে ভিডিও বানানো রীতিমতো ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। অনেকেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে শুরু করে দেন ভিডিও বানানো। আর সঙ্গে সঙ্গে সেইসব ভিডিও ছড়িয়ে দেন নেটদুনিয়া। যার ফলে তাঁরা নিজেদের তো বটেই, মনের অজান্তে অনেক ধরনের বিপদ ডেকে আনেন। প্রথমত ভিডিও বানানোর সময় তাঁদের অনেকেই একপ্রকার ভুলে যান কোথায় দাঁড়িয়ে এই কাজ তিনি করছেন। খাদের ধারে ভিডিও বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনার খবর নতুন নয়। এমনকি ভিডিও বানাতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার কথাও প্রায়শই শোনা যায়। যদিও চলন্ত মেট্রোয় ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে তেমন ঝুঁকি নেই। কিন্তু এই বিশেষ যানটির সঙ্গে দেশের আভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সম্পর্কিত। তাই মেট্রোর ভিতরের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা প্রশাসনিক ভাবেই নিষিদ্ধ। কিন্তু সে নিয়ম কেউ মানলে তো! নিয়মের তোয়াক্কা না করেই যে যার ইচ্ছে মতো ভিডিও বানাতেন। তারপর তা ছড়িয়ে দিতেন নেটদুনিয়ায়। আর এমন কাজের জেরে তাঁরা যে শুধুই নিয়ম লঙ্ঘন করতেন তা নয়, সহযাত্রীদের রীতিমতো অসুবিধার সৃষ্টি করতেন। মেট্রোর ভিতর ভিডিও করলে স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে অন্যান্য যাত্রীদেরও ছবি উঠবে। যা অনেকের কাছেই বেশ অপছন্দের ছিল।
আরও শুনুন: এবার বেদ পড়ার সুযোগ পাবেন মুসলিমরাও, নয়া প্রকল্প সংঘের
তবে সেসব এবার চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে দিল্লি মেট্রোর ক্ষেত্রে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই মেট্রোর ভিতরে তোলা ভিডিও চোখে পড়ত তাঁদের। অথচ বহু আগে থেকেই মেট্রোর অভ্যন্তরে ভিডিও বানানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমনকি এই ভিডিও বানানোর জেরে অন্যান্য যাত্রীদের অসুবধা হচ্ছে, এই অভিযোগও তাঁদের কাছে আসত। তাই কড়াভাবে এই কাজ বন্ধ করার নোটিশ জারি হয়েছে। তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। বিশেষত যারা প্রায়শই এমনভাবে ভিডিও বানাতেন তাঁরা কার্যত হতাশ হয়েছেন। অনেকে আবার বিষয়টি নিয়ে মশকরা করতেও আরম্ভ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের জেরে সাধারণ নিত্যযাত্রীরা যে বেশ খুশি হয়েছেন, তা তাঁদের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট।