ঘর পরিষ্কার করাই পেশা এই তরুণীর। তবে সেই কাজটি তিনি করেন গায়ে একটি সুতোও না রেখে। কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত আচরণ করেন ওই তরুণী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রোজগারের তাগিদে নানারকম কাজ করতে বাধ্য হন অনেকেই। তবে এই তরুণীর পেশার কথা শুনে চমকে যেতে হয়। বস্তুত ঘর ঝাড় দেওয়া, ঘর পরিষ্কার করা, আসবাবপত্র ঝাড়া মোছা করা, এই তাঁর কাজ। কিন্তু চমক অন্য জায়গায়। যাই করুন না কেন, পোশাক পরার জো নেই এই তরুণীর। কারণ সেটাই যে তাঁর কাজের শর্ত।
আরও শুনুন: গোপন অঙ্গেও রোম থাকবে না সুন্দরীর, কেন চালু হয়েছিল এই ধারণা?
হ্যাঁ, এমন অভিনব পেশার মাধ্যমেই রুজিরোজগার করেন লটি রে। ফ্লোরিডার বাসিন্দা এই তরুণীর বয়স বছর ৩২। ২০১৭ সালে হঠাৎই আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন তিনি। সেই সময় একটি চাকরির খুবই প্রয়োজন ছিল তাঁর, যাতে ভালরকম রোজগার করা যায়। সেই সময়েই ভারচুয়াল দুনিয়ার সূত্রে এই কাজের খোঁজ পান ওই তরুণী। প্রথমে একটু অস্বস্তিই হয়েছিল তাঁর। আর যেহেতু পোশাক না পরেই এই কাজ করতে হয়, সেই কারণে এই কাজের সঙ্গে যৌনতার যোগ রয়েছে বলেই অনেকের ধারণা। কিন্তু তেমনটা সত্যি নয় বলেই জানিয়েছেন এই তরুণী। কাজটি মূলত ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার। যৌন পেশার মাধ্যমে নয়, সাধারণ কাজ করেই অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন তিনি, আর করেছেন তেমনটাই। আপাতত ৬ বছর ধরেই এই পেশায় রয়েছেন তিনি। প্রতি ঘণ্টায় তাঁর কাজের মূল্য ৫০ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৫০০০ টাকা। তা সত্ত্বেও পেশার জগতে এই তরুণীর চাহিদাও রয়েছে। তবে দিনে সর্বোচ্চ দু’টি বাড়িতে যান তিনি। প্রতি বাড়িতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা কাটান। তবে এই কাজে যে কোনও বাধা বিপত্তি আসেনি, তেমনটাও নয়। লোকজনের সমালোচনা, বাঁকা কথা, সবই সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি নগ্ন অবস্থায় কাজ করার সময় অনেকেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চান। এমনকি কাজের ছুতো করে অনেকেই তাঁকে ডেকে পাঠান কেবল সঙ্গ পাওয়ার জন্যই। কিন্তু সেইসব সমস্যাকে সামলে নিয়েই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই তরুণী।