‘ভুল করে থাকলে ফের সুযোগ দিন।’ চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল-শান্তনু। ফের জামিনের আরজি পার্থ-অর্পিতার। নিজেকে নির্দোষ বলে জামিনের দাবি মানিক ভট্টাচার্যেরও। মিলবে না কোভিডকালের বকেয়া ১৮ মাসের মহার্ঘ ভাতা। সিপিএমের মতোই তৃণমূলকেও ‘সাফ’ করার হুমকি শুভেন্দু অধিকারীর। পালটা দিলেন চন্দ্রিমা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- শুভেন্দুর সুপারিশে চাকরি ১৫০ জনের, নথি দেখিয়ে তদন্তের দাবি কুণালের
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে এবার চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টাকার বিনিময়ে যাদের চাকরি হয়েছিল, হাই কোর্টের নির্দেশে সেইসব নিয়োগ বাতিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার নিয়োগ বাতিলের কার্যত বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন। তাদের জন্য আমার কোনও দয়া নেই। কিন্তু ছেলেমেয়েগুলো যাতে বঞ্চনার শিকার না হয়। তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন। আইন অনুযায়ী তারা ভুল করে থাকলে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হোক। দরকার হলে তাঁরা আবার পরীক্ষা দিক।” জলপাইগুড়ির চাকরিহারা মৃতের পরিবারের প্রসঙ্গ টেনে সকলকে মানবিকভাবে বিষয়টি দেখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর আরজি, “কথায় কথায় লোকের চাকরি খাবেন না। এটা রাজনীতি নয়।” নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্নে এদিন ফের বাম আমলকে ‘ঢাল’ করলেন মমতা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক দলীয় নেতার নাম জড়ানোয় তৃণমূল যখন খানিকটা ব্যাকফুটে, তখনই বাম আমলের ‘ক্যাডাররাজ’ প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলে কিছুটা ভাবমূর্তি বাঁচানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তাঁর সাফ প্রশ্ন, “আমি কোনও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি, তোমরা কেন খাচ্ছ?” বাম আমলকে কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে কি নিয়মবহির্ভূত চাকরির কথা পরোক্ষে মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন।
2. সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দাবি নিয়ে আরও একবার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, রাজ্য সরকারের চাকরি করে কেন্দ্রের হারে ডিএ চাইলে হবে না। মমতার বার্তা, “রাজ্য সরকারের নিজস্ব আর্থিক কাঠামো আছে। তেমনি কেন্দ্র সরকারের আলাদা কাঠামো আছে।” কেন্দ্রের হারে ডিএ চাওয়াটা রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার নয় বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
মঙ্গলবার আলিপুর জাজেস কোর্টে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আমি কারও অধিকার কাড়ার পক্ষে নই। যেটা ন্যায্য অধিকার সেটা আমরা দেওয়ার চেষ্টা করি। কেন্দ্রের কাছে রিজার্ভ ব্যাংক আছে, আমাদের নেই। আমাদের টাকা ছাপার অধিকার নেই। আগে আমরা অনেকরকম কর তুলতে পারতাম। এখন একটাই কর, জিএসটি। সব টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র।” আর্থিক বঞ্চনার প্রশ্নে এদিন যথারীতি কেন্দ্রকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বাম আমলের সময়কার আর্থিক পরিস্থিতিকেও কটাক্ষ করে মমতার দাবি, সিপিএম আমলে সময়মতো মাইনে বা পেনশনটুকুও পেতেন না সরকারি কর্মীরা। সিপিএমের আমলে ৩৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হত জানিয়ে মমতা দাবি করলেন, ১২৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। তৃণমূল সরকার মানবিক, এ কথা বলে কর্মীদেরও সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আরজি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।