দেশের তাবড় সেলিব্রিটিকে একেবারে অন্য মেজাজে টেলিভিশনের পর্দায় হাজির করেছেন তিনি। গাম্ভীর্যের খোলস ছেড়ে সেলেবরাও তাঁর সামনে ধরা দিয়েছেন খোশমেজাজে। কপিল শর্মা-র শো মানেই চেনা তারকাকে অন্য মেজাজে পাওয়া। কিন্তু তাই বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে কি আমন্ত্রণ জানানো যায় কমেডি শো-তে! সাহস করে সে-প্রস্তাবও দিয়েছিলেন কপিল। আর তার উত্তরও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কী সেই উত্তর? আসুন শুনে নিই।
কমেডি জঁরকে এই সময়ে যাঁরা যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাঁদের মধ্যে সবার আগেই থাকবে কপিল শর্মার নাম। নেহাত মশকরা বা সিনেমার মাঝে রিলিফের জায়গা হিসাবে কমেডির ব্যবহারের ধারাটিকে ভাঙতে চেষ্টা করেছিলেন অনেকেই। কেউ কেউ সফলও হয়েছিলেন। হাল আমলে তাকেই একেবারে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন কপিল। তাঁর শো-এর জনপ্রিয়তা এমনই যে তাবড় সেলিব্রিটিরা এই অনুষ্ঠানে আসার ব্যাপারে উন্মুখ হয়ে থাকেন। সিনেমার প্রমোশনের নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে কপিল শর্মার শো।
আরও শুনুন: সিনেমা নয়, সত্যি! ৪৭-এ অন্তঃসত্ত্বা মা, লজ্জা না পেয়ে বোনকে স্বাগত জানাল ২৩-এর দিদি
তবে এই শোয়ের একটা অন্য দিকও আছে। সাধারণত তারকাদের আমাদের যে ইমেজে দেখে থাকি, এই অনুষ্ঠান যেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসারই মঞ্চ। অনেকটা ঘরোয়া মেজাজে পাওয়া যায় তারকাদের। আর তাই স্বক্ষেত্রে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত তাঁদেরকে এই অনুষ্ঠানে দিলখোলা মেজাজে দেখতে পছন্দই করেন দর্শক। কেমন হয় যদি এই অনুষ্ঠানে আনা যায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে? এমন ভাবনাও ভেবেছিলেন কপিল। সচরাচর আমরা প্রধানমন্ত্রীকে গুরুদায়িত্ব পালন করতেই দেখি। কখনও সখনও কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তাঁকে যে হালকা মেজাজে পাওয়া যায় না, তা নয়। তবে কপিলের শো-এর মুডে প্রধানমন্ত্রীকে যদি পাওয়া যায়, তবে তা দর্শকের কাছে অন্যরকম পাওনা-ই হবে। সাতপাঁচ চিন্তা করেই খোদ প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কপিল। যখন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল, তখনই কপিল বলেছিলেন, ‘স্যার একবার আমার শো-তে আসুন।’ আর তাতে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর? কপিল জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই মুহূর্তে বিরোধীরা তো বিস্তর কমেডি করে চলেছে- এরকমই একটা কথা।’ তবে কপিলের প্রস্তাব একেবারে নাকচ করে দেননি প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে যে রাজি হয়েছিলেন তা-ও নয়। প্রধানমন্ত্রীকে এখনও এই শো-তে দেখা যায়নি। তবে কপিল আশাবাদী এব্যাপারে। কেননা প্রধানমন্ত্রী প্রকারন্তরে সম্মতিই জানিয়েছিলেন। আর তাই কখনও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যে কপিল শর্মার মুখোমুখি হবেন, এমনটা আশা করতেই পারেন দর্শক।
আরও শুনুন: ‘তোমরা ভারতে বসবাসের যোগ্য নও’, বন্ধুর ‘বাক্যবাণ’ ভুলতে পারেননি নাসিরুদ্দিন শাহ
প্রধানমন্ত্রীকে হাসি-মজার মেজাজে পাওয়া যে সকলের জন্যই অন্যরকম একটা প্রাপ্তি হবে, এমনটা মনে করেন কপিল নিজেও। তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, একবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মেজাজে দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর রসিকতা শুনে উপস্থিত সকলেই হেসে উঠেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে সেই হালকা মেজাজে সকলেই চিনুক, এমনটা চান তিনি। আর তাই তিনি জানিয়েছেন, এরপরেও যখনই সুযোগ পাবেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে শো-তে আমন্ত্রণ জানাবেন। তবে তিনি আদৌ রাজি হবেন কিনা, সে তো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর উপরই নির্ভর করছে।