‘এক ফুল দো মালি’ সিনেমাটার কথা মনে আছে? একই মহিলার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন দুই যুবক। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক উলটো ঘটনা। অর্থাৎ একজন পুরুষের প্রেমে পড়েছেন দুই মহিলা। এমনকী একই মণ্ডপে দুজনে বিয়েও করেছেন ওই ব্যক্তিকে। কোথায় ঘটল এমন অদ্ভুত কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
আগেকার দিনে রাজ-রাজাদের মধ্যে বহুবিবাহের চল ছিল। তবে বর্তমান ভারতীয় আইনে এর একেবারেই স্বীকৃতি নেই। কিন্তু প্রেমের টান কি আর আইনের তোয়াক্কা করে! তাই একই মণ্ডপে একজন যুবকের গলাতেই মালা দিলেন দুই তরুণী।
আরও শুনুন: পাত্র নয়, হরেক সংস্থার বেতনের খোঁজেই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে! অভিনব কীর্তি তরুণীর
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমন অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল তেলেঙ্গানার এক গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন সাত্তিবাবু নামে এক যুবক। দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্না নামে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। দুজনে বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু এরই মাঝে সুনীতা নামে এক মহিলার সঙ্গে সাত্তিবাবুর আলাপ হয়। প্রথম দেখাতেই দুজনের দুজনকে বেশ ভালোও লেগে যায়। কিন্তু তাঁর তো প্রেমিকা রয়েছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও প্রথমে সুনীতার সঙ্গে কোনও সম্পর্কে জড়াননি তিনি। তবে একবার যাকে মনে ধরেছে তাকে ছেড়ে আর কতদিনই বা থাকা যায়! তাই সুনীতার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই দেখা করতে যেতেন সাত্তিবাবু। এভাবেই কয়েকমাসের মধ্যে তাঁদের সম্পর্ক যথেষ্ট গাঢ় হয়।
আরও শুনুন: দাঁড়িপাল্লায় কনের সঙ্গে রাখা অসংখ্য সোনার ইট! অভিনব কায়দায় ওজন পাকিস্তানের বধূকে
এদিকে তিনি জানতেন এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেবেন না স্বপ্না। বাস্তবে হলও তাই। প্রেমিকের নতুন সম্পর্কের কথা শুনে বেজায় চটে যান স্বপ্না। তখনই এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেন সাত্তিবাবু। তিনি ঘোষণা করেন সুনীতা ও স্বপ্না দুজনকেই বিয়ে করবেন। তাঁরা যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশ, সেখানে এখনও পুরুষের বহুবিবাহের প্রচলন আছে। তাই সবার বাড়ি থেকেই সম্মতি জানায় তাঁর এই প্রস্তাবে। সুনীতা প্রথম থেকেই জানতেন সাত্তিবাবুর অন্য সম্পর্কের কথা। তাই এই বিয়েতে তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। অন্যদিকে প্রথমে বিরোধিতা করলেও, পরে রাজি হন স্বপ্নাও। একইদিনে আয়োজন হয় বিয়ের। তিন পরিবারকে সাক্ষী রেখে দুই প্রেমিকাকে একইসঙ্গে বিয়ে করেন সাত্তিবাবু।