বাবার দেখভাল করে না কোনও সন্তানই। বৃদ্ধাশ্রমেই দিন কাটে বছর ৮৫-র এই বৃদ্ধের। তাই তিনিও পালটা শিক্ষা দিয়েছেন সন্তানদের। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি উইল করে দান করে দিয়েছেন খোদ রাজ্য সরকারকে। বৃদ্ধের কাণ্ডে হতবাক সকলেই। আসুন শুনে নিই।
বয়স আশি পেরিয়েছে বহুদিন। ছেলে-মেয়ে সকলেই নিজের নিজের জীবনে থিতু। কিন্তু বৃদ্ধের দিন কাটে কাটে একা একাই। কারণ তাঁর দায়িত্ব নিতে চায় না কোনও সন্তান। তাই নিজের যাবতীয় সম্পত্তি রাজ্যের সরকারকে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যোগীরাজ্যের ওই বৃদ্ধ। সব মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি।
আরও শুনুন: লাঠি দিয়ে পুরুষ সঙ্গীদের আঘাত করেন মহিলারা, দোল উদযাপনের অন্য এক ধারা ‘লাঠমার’
নাথু সিং নামের এই বৃদ্ধ উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের বাসিন্দা। বছর বছর ৮৫। পরিবার বলতে, এক ছেলে ও চার মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে বহু আগে। ছেলে সরকারি স্কুলের শিক্ষক। তাঁরও আলাদা সংসার হয়েছে। কিন্তু নামেই তাঁরা পরিবারের অংশ। বাবাকে দেখাশোনার করার ভার নিতে নারাজ সকলেই। স্ত্রী বেঁচে থাকাকালীন অন্তত একজন সঙ্গী ছিল। কিন্তু এখন আর তিনিও নেই। কয়েকমাস আগে মনের দুঃখে ঠাঁই নিয়েছেন এক বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানেই চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থেকে নিঃসঙ্গ জীবন কাটে তাঁর। আর সেই অভিমান থেকেই তিনি নিয়েছেন এক চরম সিদ্ধান্ত। সন্তানরা যেমন তাঁকে দেখে না, তাই তিনি ঠিক করেছেন নিজের সম্পত্তির এতটুকু ভাগ দেবেন না তাদের। এমনকি মৃত্যুর পর তাঁর দেহ সৎকারের অধিকার থেকেও সন্তানদের বঞ্চিত করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: প্রাক্তন প্রেমিকার নামেই সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখতে চান ব্যক্তি, চটে লাল স্ত্রী
নিজের যাবতীয় সম্পত্তি উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারকেই দান করে দিয়েছেন এই বৃদ্ধ। যার মধ্যে রয়েছে একটি বাড়ি ও বেশ কিছু জমি। সব মিলিয়ে এই সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। একটি উইল করে নিজের যাবতীয় সম্পত্তি রাজ্য সরকারের নামে লিখে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ করেছেন, তাঁর ইচ্ছা ওই টাকায় একটি স্কুল বা হসপিটাল বানানো হোক। অন্যদিকে তিনি মরণোত্তর দেহ দান করেছেন মেডিক্যাল কলেজে। তাঁর দাবি, মৃত্যুর পর তাঁর দেহ নিয়ে গবেষণার কাজ করুক ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তবে এত কিছুর পরেও কিন্তু তাঁর খোঁজ নিতে আসেনি কোনও সন্তান, এমনটাই জানিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমের কর্তৃপক্ষ।