দেশ জুড়ে মাঝে মাঝেই উসকে ওঠে অসহিষ্ণুতার আঁচ। সেই আবহে এক ব্যতিক্রমী নজির গড়লেন এই মুসলিম দম্পতি। সমাজে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে হিন্দু মন্দিরে বিয়ে সারলেন তাঁরা। আর এভাবেই যেন বুঝিয়ে দিলেন, ধর্মের মূল কথা মানবতা। কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ধর্মের আসল অর্থ ধারণ করা। সে কথাই যেন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন এই ব্যতিক্রমী যুগল। ধর্মকে কেন্দ্র করেই যখন অসহিষ্ণুতা বারেবারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দেশে, সেখানে এক আশ্চর্য নজির গড়লেন তাঁরা। ধর্মে মুসলিম, অথচ তাঁরা বিয়ে করেছেন হিন্দু মন্দিরে। আর তার জেরেই এবার খবরের শিরোনামে এই নবদম্পতি।
আরও শুনুন: ‘অভিশপ্ত’ খাবার! নারীদিবসের জন্য উদ্ভাবন বিশেষ রেসিপির, রাঁধতে গিয়ে জখম হন একাধিক রাঁধুনি
ঘটনাটি হিমাচল প্রদেশের সিমলার। সেখানকার রামপুর অঞ্চলের এক হিন্দু মন্দিরে ধরা পড়েছে এমন সম্প্রীতির ছবি। মন্দিরটি পরিচালনা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নামে এক হিন্দু সংগঠন। তাঁদের সাহায্য নিয়েই এমন বিয়ের আয়োজন করেছিলেন ওই দম্পতি। তাঁরা দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ের কথা পাকাপাকি হতেই যুগলে সিদ্ধান্ত নেন, অন্য কোথাও নয়, কোনও হিন্দু মন্দিরে বিয়ে সারবেন তাঁরা। তবে হিন্দু মন্দিরে বিয়ে হলেও নিজেদের ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। বিয়ের দিন মন্দির চত্বর বেশ সুন্দর করেই সাজানো হয়েছিল। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন ও এক মৌলবি। একইসঙ্গে ছিলেন একজন আইনজীবীও। মন্দিরের সদস্যরাও সাক্ষী ছিলেন এই অনুষ্ঠানের। আসলে ওই দম্পতির আসল উদ্দেশ্য ছিল, সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। তাই অতিথিদের ক্ষেত্রেও কোনও ভেদাভেদ রাখেননি তাঁরা। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সমস্ত অতিথিদের সাক্ষী রেখেই বিয়ে করেছেন এই দম্পতি।
আরও শুনুন: ‘আধুনিক’ মেয়েদের ধূমপান না-পসন্দ, অনুমতি ছাড়াই অচেনা মহিলার ছবি পোস্ট করে বিপাকে ব্যক্তি
তবে শুধুমাত্র ওই দম্পতি নয়। এই বিয়েতে খুশি মন্দিরের দায়িত্বে থাকা হিন্দু সংগঠনও। তাঁদের দাবি, প্রায়শই হিন্দু সংগঠনগুলির দিকে মুসলিম বিদ্বেষের আরোপ চাপানো হয়। কিন্তু আদপে এ কথা সত্যি নয়। তাঁদের মতে, সনাতন ধর্ম মানবজাতিকে এগিয়ে চলার বার্তা দেয়। তাই এই মুসলিম দম্পতির বিয়ে সমাজের কাছে একটা বড় উদাহরণ হয়ে রইল বলেই মত প্রকাশ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন নবদম্পতির পরিবারও।