মাতৃগর্ভে থাকার সময়েই শিশুর কানে পুরে দিতে হবে হিন্দু ধর্মের বাণী। এই লক্ষ্যেই ‘গর্ভ সংস্কার’ নামে নয়া প্রকল্প শুরু করল আরএসএস-এর অন্তর্গত একটি শাখা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনও মহিলাকে কী কী করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে এই প্রকল্প। কী বলা হয়েছে সেখানে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে অষ্টাবক্র মুনির, যিনি ঋষি উদ্দালকের কন্যা সুজাতার পুত্র। শোনা যায়, মায়ের গর্ভে থাকার সময়েই বাবার শাস্ত্রপাঠ শুনে শুনে তিনি সব শাস্ত্র পড়ে ফেলেন। কিন্তু কাহিনিতে নয়, সরাসরি বাস্তবে কি ঘটতে পারে এমন ঘটনা? সম্প্রতি কিন্তু তেমনই এক প্রস্তাব পেশ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অন্তর্গত একটি শাখা। তাদের সাফ দাবি, সন্তান মায়ের গর্ভে থাকার সময়েই তাকে শোনাতে হবে হিন্দু ধর্মের বাণী। আর তাহলেই নাকি সেই সন্তানের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত হওয়া সম্ভব, এমনটাই দাবি আরএসএস-এর। এই লক্ষ্যেই ‘গর্ভ সংস্কার’ নামে নয়া প্রকল্প শুরু করেছে সম্বর্ধিনী ন্যাস নামে সংঘের একটি শাখা।
আরও শুনুন: ‘আধুনিক’ মেয়েদের ধূমপান না-পসন্দ, অনুমতি ছাড়াই অচেনা মহিলার ছবি পোস্ট করে বিপাকে ব্যক্তি
নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করে ওই শাখার কার্যনির্বাহী সভাপতি মাধুরী মারাঠে জানিয়েছেন, গর্ভে থাকার সময়েই শিশুদের হিন্দু ধর্ম ও সংস্কার সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে হবে। আর সেইজন্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনও মহিলাকে কী কী করতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে এই প্রকল্প। তার জন্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক এবং যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষকদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেছে সংঘের ওই শাখা। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কার্যক্রম তৈরি করা হবে। সেখানে গীতা পাঠ, রামায়ণ পাঠের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত হবে যোগ শিক্ষাও। কোনও মহিলার গর্ভধারণ থেকে ভূমিষ্ঠ সন্তানের দুবছর বয়স পর্যন্ত চলবে এই শিক্ষা। গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশু ৫০০ শব্দ শিখতে পারে বলে দাবি ন্যাস সভাপতি মাধুরী মারাঠের। তাই গর্ভে থাকার সময় থেকেই কোনও শিশুকে হিন্দু ধর্মের পাঠ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আরএসএস-এর মহিলা বিভাগ, যার মধ্যে অন্যতম সম্বর্ধিনী ন্যাস নামের এই শাখাটি। প্রাথমিক ভাবে অন্তত এক হাজার মহিলাকে এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই ‘গর্ভ সংস্কার’ প্রকল্প শুরু করছে সংঘের এই শাখা।