সফট ড্রিঙ্কের ভক্ত অনেকেই। ছুতোনাতায় নরম পানীয়ে চুমুক দিয়ে থাকেন বহুসংখ্যক মানুষ। কিন্তু এই ধরনের পানীয়ে যে পুরুষের যৌনস্বাস্থ্য ভাল থাকে, এ তথ্য একেবারেই নতুন। গবেষকদের দাবি অবশ্য তেমনটাই। আসুন শুনে নিই।
সফ্ট ড্রিঙ্ক হিসাবে যে পানীয়গুলি বাজারে মেলে, তার কয়েকটির বিক্রির হিসাব দেখলেই বোঝা যাবে এদের জনপ্রিয়তা। শুধু গরমে গলা ভেজাতে নয়, অকারণেও নেহাত শখের বশে অনেকে এই ধরনের পানীয়ে চুমুক দেন। তবে এতদিন পর্যন্ত এই কার্বোনেটেড পানীয় বা বেভারেজের ক্ষতিকর দিকগুলোই সামনে এসেছে। ওজন বাড়া থেকে শুরু করে বহু অসুখের মূল যে এই ধরনের পানীয়, তা শোনা গিয়েছে বারংবার। অনেক চিকিৎসকও তাই এই জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকতে বলেন। এবার জানা গেল এর স্বাস্থ্যকর দিকটি। দেখা যাচ্ছে, পুরুষের যৌনস্বাস্থ্য চাঙ্গা রাখতে এই ধরনের নরম পানীয়ের বিশেষ ভূমিকা আছে।
আরও শুনুন: ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেলেন বৃদ্ধাশ্রমে, ৭০ পেরিয়ে ঘর বাঁধলেন যুগলে
হাতে-কলমে পরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা। মূলত ইঁদুরেরই উপর প্রাথমিক ভাবে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল ইঁদুরদের। একদলকে দেওয়া হয়েছিল এক বিশেষ ধরনের নরম পানীয়। অপর দলকে দেওয়া হয়েছিল আর এক জনপ্রিয় সংস্থার নরম পানীয়। এক দলকে শুধুই জল দেওয়া হয়েছিল। অন্য দুই দলকে দুই ধরনের নরম পানীয়ের সঙ্গে জলের মিশ্রণ দেওয়া হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, যে দলকে শুধুই দুই বিশেষ ধরনের নরম পানীয় দেওয়া হয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রেই যৌনস্বাস্থ্যে উন্নতির লক্ষণ দেখা গিয়েছে। গবেষকদের দাবি, এর ফলে প্রস্টেট ক্যানসারের মতো অসুখও রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও শুনুন: দাঁড়িপাল্লায় কনের সঙ্গে রাখা অসংখ্য সোনার ইট! অভিনব কায়দায় ওজন পাকিস্তানের বধূকে
চিনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই দাবি রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গবেষকরা বলছেন, নরম পানীয় পান করার দরুন ওবেসিটি বা অন্যান্য যে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা, সেই ভয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তবে পাশাপাশি পুরুষের যৌনতার উন্নতিও দেখা যাচ্ছে। একই পরীক্ষা স্ত্রী ইঁদুরের ক্ষেত্রে অবশ্য কার্যকরী হয়নি। তবে এর আগে এই ধরনের পরীক্ষাতেই প্রায় উলটো দাবি করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, কার্বোনেটেড পানীয় পানের ফলে পুরুষের যৌনস্বাস্থ্যের অবনতি হব। শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাওয়ার কথাই জানিয়েছিল সেই গবেষণা। নতুন গবেষণা আবার একেবারে নতুন তথ্য সামনে এনে হাজির করেছে। তবে এই বিষয়ে যে আরও গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন আছে, তা-ও জানিয়েছেন গবেষকরা। তারপরেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে বলে মত তাঁদের।