বেআইনি ভাবে সংখ্যায় বাড়ছে বিশেষ এক ধর্মের ধর্মস্থান। পাল্লা দিয়ে প্রকাশ্যে আসছে লাভ-জিহাদের ঘটনাও। এইসবই ভারতীয় হিন্দুদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রতিবাদে মুম্বইয়ের এক মিছিলে শামিল হলেন হিন্দুত্ববাদীরা। সেখানেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরলেন তাঁরা। এই সূত্রে তাঁদের ঠিক কী অভিযোগ প্রকাশ্যে এল? আসুন শুনে নিই।
বেআইনি ভাবে বাড়ছে নির্দিষ্ট এক ধর্মাবলম্বীদের ধর্মস্থানের সংখ্যা। একইসঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে ‘লাভ-জিহাদ’। এইসবের প্রতিবাদেই সম্প্রতি একটি মিছিল করলেন হিন্দুত্ববাদীরা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ওই মিছিল থেকেই বিশেষ ওই ধর্মের মানুষদের প্রতি তোপও দেগেছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: ‘বৃহন্নলাদের বাহিনী’ হয়ে উঠবে ভারতীয় সেনা, নেতার মন্তব্যে উসকে উঠল বিতর্ক
কিন্তু আচমকা বেআইনি ধর্মস্থানের বিরুদ্ধে কেন সরব হলেন হিন্দুতবাদীরা? তাঁদের মতে, এ ঘটনা আকস্মিক নয়। বরং এর নির্দিষ্ট প্রেক্ষিত আছে। সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁদের মিছিল। জনপ্রিয় এক হিন্দু সংগঠনের সদস্য কাজল সিংহ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন লাভ জিভাদের প্রসঙ্গটি। তাঁর মতে, মুম্বই শহরে একসঙ্গে ২৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এক ঘরে থাকছেন। সংগঠনের অভিযোগ, তাঁরাই নাকি মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত ফল ও সবজি বাজার দখল করতে শুরু করেছেন। যার দরুন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন হিন্দু ব্যবসায়ীরা। তাই সংগঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এঁদের বয়কট করার ডাক দিয়েছেন তিনি। এরপরই বেআইনি ভাবে ধর্মস্থান নির্মাণের কথা বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, মুম্বইয়ের এপিএমসি বাজারের কাছেই তৈরি করা হয়েছে ৮টি দরগা। পাশাপাশি বহু জায়গাতেই রাতারাতি এরকম ধর্মস্থান তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর জোরালো দাবি যে, এগুলি সবই বেআইনি। অবিলম্বে মুম্বই পুরসভার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি একটি সমাধানের রাস্তাও বাতলেছেন তিনি। তাঁর মতে, যদি বিনা অনুমতিতে এই ধর্মস্থানগুলি তৈরি করা হয়ে থাকে, তাহলে বিনা অনুমতিতেই সেগুলি ভেঙেও ফেলা যায়।
আরও শুনুন: সংস্কৃত থেকেই এসেছে ‘আল্লাহ্’ শব্দটি, দাবি বেনারসের শঙ্করাচার্যের
এখানেই শেষ নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই তিনি স্থানীয় হিন্দুদের উদ্দেশেও এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মূর্তি পুজো করেন না এমন কাউকে যেন বাড়ি বা জমি ভাড়ায় না দেন হিন্দুরা। যদিও এই প্রথম নয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার এই ধরনের দাবি নিয়ে পথে নামলেন হিন্দুত্ববাদীরা। তবে এই মিছিলে জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মিছিলের ভিডিও করে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মিছিলকারীদের দাবিও রেকর্ড করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে সম্পূর্ণ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।