দুহাজার কোটির বেশি সম্পত্তি গোপাল ও হৈমন্তীর, দাবি সিবিআই-এর। ওড়িশায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা। বাংলার ৭ দিনমজুরকে পিষে দিল ট্রাক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মিছিলে গুলি, বোমাবাজি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমগ্র শিক্ষা অভিযানে রাজ্যের কাজে সন্তুষ্ট কেন্দ্র। একজোট হয়ে বিজেপিবিরোধী লড়াইয়ের ডাক কংগ্রেসের। প্রয়াত লোকসংগীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. কুন্তল ঘোষের সূত্রে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জুড়েছে গোপাল দলপতি ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। এবার সিবিআই জানাল, এখনও পর্যন্ত গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, ওই সম্পত্তির পরিমাণ দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে গোপালের সঙ্গে হৈমন্তীর পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পত্তি কিনতে শুরু করেন দু’জন। ওই সময় থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা গোপাল দলপতির কাছে আসতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ইডি ও সিবিআই সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় নামে ও বেনামে প্রায় ২০০ বিঘা জমি ও কোথাও জমির উপর বাড়ি রয়েছে এই যুগলের। বীরভূমে রয়েছে দু’জনের হোটেল ও গেস্ট হাউজ। হৈমন্তীর হাওড়ার পারিবারিক বাড়ি ছাড়াও টালিগঞ্জের অদূরে বেহালার মুচিপাড়ার কাছে রাজা রামমোহন রায় রোডে একটি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। এমনকি মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে একটি অফিসের সন্ধান মিলেছে, যার সঙ্গে হৈমন্তীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে সিবিআই।
এদিকে গোপাল দলপতির খোঁজ মিলেছে। তাঁর দাবি, একটি মামলার কাজে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। সিবিআই কেন্দ্রীয় দপ্তরে হাজিরা দিতে হলেও তিনি যাবেন বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে বলেও দাবি। তবে নিজের পাশাপাশি বারবার হৈমন্তীকেও নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন গোপাল। নিজের দিক থেকে নজর ঘোরাতেই গোপাল এবং হৈমন্তীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন ধৃত কুন্তল ঘোষ, এমনটাই দাবি গোপাল দলপতির।
2. ওড়িশায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত বাংলার ৭ জন দিনমজুর। শনিবার ভোররাতে জাজপুর জেলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ওই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাক পিষে দেয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের মাটিয়া থানার নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা ৭ জন দিনমজুরকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। বাকিরা একই গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করতেন নিহতেরা। শনিবার ভোরে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাজার করছিলেন তাঁরা। সেই সময় পিছন থেকে একটি ট্রাক এসে তাঁদের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে ঘটনাস্থলেই ৬ যুবকের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ওড়িশা সরকার এবং নিহতদের পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রাজ্য সরকার। মৃতদেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে পরিবারগুলিকে যাবতীয় সাহায্য করার ভার নিয়েছেন বনদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।