বিয়ে করতে গেলে কর্মস্থল থেকে ছুটি নেওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু এখানে উলট পুরাণ। আপনি বিয়ে করতে চাইলেই আপনাকে যেচে ছুটি দেবে অফিস। কিন্তু কেন বলুন তো? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ে করতে গেলে ছুটি তো লাগবেই। আর তাও এক-দুদিনের ছুটি নয়, বেশ কয়েকদিনের টানা ছুটি। আর সরকারি বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, ছুটি আদায় করার ঝক্কি তাঁরা হাড়ে হাড়ে জানেন। কিন্তু জানেন কি, আপনি যদি এই বিশেষ জায়গার বাসিন্দা হন, তাহলে এসব ঝক্কি আপনাকে পোহাতেই হবে না। বিয়ের খবর শুনলে উলটে কর্মস্থল থেকেই ছুটি মঞ্জুর করা হবে। তাও আবার এক মাসের জন্য। আর তার জন্য বেতনেও হাত দেবেন না কর্তৃপক্ষ। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করেছে চিনের সরকার। তবে গোটা দেশের জন্য নয়, গানসু এবং সানশি নামের দুটি প্রদেশে মিলবে এই সুবিধা।
আরও শুনুন: ১০০ সন্তানের বাবা হওয়াই লক্ষ্য! ৬০ বছরে ২৬ বার বিয়ে পাকিস্তানের ব্যক্তির
কিন্তু এতদিনের লম্বা ছুটি মানে তো কাজ বন্ধ থাকা। তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে খোদ প্রশাসন?
জানা গিয়েছে, দেশের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। আসলে চিনের জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যেই এহেন পদক্ষেপ। বিগত ৬০ বছরে এই প্রথমবার চিনে জনসংখ্যার হার কমেছে দুর্দমনীয় গতিতে। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক-সন্তান নীতির পক্ষেই জোর দিত চিন সরকার। কিন্তু ২০২২ সালে, সেই জন্মহার নেমে এসেছে ৬.৭৭ শতাংশে। যা দেশে আর্থিক পরিকাঠামোর উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবস্থার বদল ঘটাতেই তাঁরা মনে করছেন, বিয়ের জন্য লম্বা ছুটি দিলে তা নবদম্পতিদের সন্তানধারণে উৎসাহ জোগাবে।
আরও শুনুন: যার সঙ্গে মজে মন! ৫৪ বছরের ব্যক্তির প্রেমে পড়ে প্রেমিকের হাত ছাড়লেন ২৪-এর তরুণী
এতদিন চিনে বিয়ের জন্য বরাদ্দ ছুটি ছিল ৩ দিন। কিন্তু এবার থেকে সাংহাই-এর কর্মীদের ক্ষেত্রে ১০ দিন ছুটি বরাদ্দ করেছে সরকার। আর চিনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গানসু এবং সানশি প্রদেশের কর্মীরা ৩০ দিনের সবেতন ছুটি পাবেন বলেই ঘোষণা প্রশাসনের। বিয়ের জন্য ছুটির পরিমাণ বাড়ালে বাড়বে জন্মহারও, এমনটাই আশা বিশেষজ্ঞদের।