আর রাখঢাক নয়। মেঘালয়ে ভোটের মরশুমেই খোলাখুলি বাগযুদ্ধে জড়াল তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিজেপিকে সাহায্য করছে তৃণমূল, দাবি রাহুলের। পালটা তোপ দাগলেন অভিষেক। মেঘালয়-সহ সাত রাজ্যকে নিয়ে জোট গড়ার ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শিলিগুড়ি হবে উত্তর-পূর্বের গেটওয়ে, ঘোষণা নেত্রীর। হুঁশিয়ারির পর পিছু হটল পাহাড়ের আন্দোলনও। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে মাধ্যমিকে। এই ইস্যুতে ফের উদ্বেগ প্রকাশ কলকাতা হাই কোর্টের। রাজ্য সরকারকে সিলেবাস বদলের পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ভাষা বিতর্কে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বেকায়দায় শুভাপ্রসন্ন।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আর রাখঢাক নয়। এবার খোলাখুলিই একে অপরের বিরোধিতা শুরু করে দিল বিরোধী শিবিরের দুই অন্যতম শক্তি তৃণমূল এবং কংগ্রেস। এদিন মেঘালয়ের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বলেন, মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা সেরে এদিনই প্রথম মেঘালয়ে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিজেপিকে বিঁধলেও এদিন রাহুলের নিশানায় মূলত ছিল তৃণমূল। তিনি বলেন, তৃণমূল মেঘালয়ে লড়াই করছে শুধু বিজেপি যাতে ক্ষমতায় আসে সেটা নিশ্চিত করতে। গোয়াতেও প্রচুর অর্থ খরচ করে বিজেপিকে সাহায্য করেছে তৃণমূল, আর উত্তর-পূর্বেও সেটাই ঘাসফুল শিবিরের লক্ষ্য বলে তোপ রাহুলের। বাংলার দুর্নীতি আর হিংসার প্রসঙ্গ টেনে এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানান কংগ্রেস নেতা। আর এরপরেই পালটা ফুঁসে উঠলেন ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে অভিষেক বলে দিলেন, প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ভিমরতি হয়েছে কংগ্রেসের। রাহুলের অযোগ্য নেতৃত্বেই দেশজুড়ে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে কংগ্রেস, এই মর্মে তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষও। তৃণমূল এবং কংগ্রেসের এই দূরত্ব অবশ্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এতদিন দলের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতৃত্ব সেভাবে একে অপরকে আক্রমণ করেননি। কিন্তু মেঘালয়ের ভোটপ্রচারের আবহেই খোলাখুলি বাগযুদ্ধে নামল দেশের বিজেপিবিরোধী শিবিরের অন্যতম দুই শক্তি।
2. পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। কেবল মেঘালয় নয়, উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যেই যাবে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের আগে মেগা প্রচারে গিয়ে সেভেন সিস্টারকে নিয়ে জোট তৈরির ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে রাজাবালার সভা থেকে এদিন বিরোধীদের একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “দিল্লি থেকে বিজেপি-কংগ্রেস এসে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে না। আমরা আপনাদের কাছের রাজ্য। আপনাদের বন্ধু।” মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে কংগ্রেস, এমনটাই দাবি মমতার। মেঘালয়ের বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসার স্বার্থে বাংলায় এলে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থাকবে। এরপরই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে নিয়ে জোট গঠনের বার্তা দেন তিনি। জানান, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির গেটওয়ে হবে শিলিগুড়ি।
এদিকে শিলিগুড়ির জনসভা থেকে পাহাড়ের আন্দোলন নিয়েও কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গভঙ্গের দাবিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি বন্ধ পাহাড়ে ডাকেন গোর্খাল্যান্ডপন্থীরা। এর বিরোধিতা করে পাহাড়ে অশান্তি হতে না দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন মমতা। আর তারপরেই ধর্মঘটের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখলেন অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাং, বিমল গুরুং-রা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।