নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই হেফাজতে তাপস, কুন্তল, নীলাদ্রি। জেল হেফাজতের নির্দেশ অন্য চার অভিযুক্তের। মিউটেশনের শুনানিতেও কাটল না অমর্ত্য সেনের জমি-জট। শিক্ষক বদলি মামলায় এবার কড়া পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের। সন্তানসম পড়ুয়াদের প্রতি কতটা দায়িত্বশীল শিক্ষকরা? প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোটের দাবিতে পথে SFI। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে রণক্ষেত্র কলেজ স্ট্রিট চত্বর। গড়িয়াহাটের পর পার্ক স্ট্রিট। একটি গাড়ি থেকেই মিলল ৫০ লক্ষ টাকা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস ও নীলাদ্রীকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই হেফাজতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষ। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই থাকবেন তিন অভিযুক্ত। এদিন আদালতে তোলার সময়ও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন তাপস মণ্ডল। তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অপর ধৃত নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবিও একই প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে তাপসের গ্রেপ্তারিতে খুশি হয়েছেন বলেই দাবি কুন্তল ঘোষের। তবে তাঁর আইনজীবীও সিবিআই হেফাজতের যৌক্তিকতা নিয়ে আদালতে দরবার করেন। এদিকে এই দুর্নীতিতে ধৃত অন্য চার অভিযুক্তকেও এদিন আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের আইনজীবীদের সঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবীর দীর্ঘ সওয়াল-জবাব পর্ব চলে। সব পক্ষের কথা শোনার পরই কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রির সিবিআই হেফাজত, এবং বাকি চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অর্থাৎ এই মুহূর্তে তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রী ঘোষ থাকছেন সিবিআই হেফাজতেই। ফলে দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনা জোরদার হল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতেই সোমবার বরাহনগরে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁর একটি ফ্ল্যাট সিল করেও দেওয়া হয়েছে। মালদহ থেকে ধৃত তৃণমূল নেতা আবদুল খালেককে জেরা করে বরাহনগরের এই ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তাঁর কাছে অবৈধ নিয়োগের কমিশন আসত বলে তদন্তকারীদের দাবি। নিয়োগ দুর্নীতির চক্রে ওই প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কত টাকা কমিশন পেতেনে, কার কার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল, ওই ব্যক্তিকে জেরা করেই সেসবের হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।
2. মিউটেশনের শুনানিতেও কাটল না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমিজট। সোমবার নির্দিষ্ট বিএলআরও অফিসে যান অমর্ত্য সেন ও তাঁর আইনজীবীরা। বিএলআরও অফিসে ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো, আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা। মিউটেশনের শুনানির শুরুতে দু’পক্ষের আইনজীবীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাসের দাবি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অতিরিক্ত জমির মিউটেশন করাতে চাইছেন। যদিও বিশ্বভারতীর আইনজীবীর এই অভিযোগ মানতে নারাজ অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, অমর্ত্য সেন কোনওভাবেই অন্যের জমি নিতে চান না। যতটুকু তাঁর জমি, ঠিক ততটুকুই মিউটেশন করার কথা বলেছেন তিনি। মিউটেশনের পরবর্তী শুনানি আবার কবে হবে, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না অমর্ত্যর আইনজীবী। কারণ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে। তারা পরবর্তী সময় দিলে আবারও শুনানি হবে। পরবর্তী শুনানিতে জমিজট কাটতে পারে বলেই আশাবাদী দুই পক্ষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।