হাতে চাই আই-ফোন। অথচ টাকা নেই হাতে। আর তাই অর্ডার ডেলিভারি দিতে আসা ব্যক্তিকেই খুন করল এক তরুণ। ভয়াবহ এই ঘটনা তুলে দিল অনেক প্রশ্ন। আসুন শুনে নিই।
আই-ফোনের অর্ডার দিয়েছে। অথচ তার দাম মেটানোর মতো পর্যাপ্ত টাকা হাতে নেই। আর তার জেরেই ই-কমার্স সংস্থার ডেলিভারি ভয়কেই খুন করল এক তরুণ। ভয়াবহ এই ঘটনা কর্ণাটকের।
আরও শুনুন: বিয়ের ৬ মাস পরে জানা গেল স্ত্রী দাগি আসামি, চক্ষু চড়কগাছ স্বামীর
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম হেমন্ত দত্ত। জনপ্রিয় এক ই-কমার্স সংস্থায় একটি আই-ফোন অর্ডার দিয়েছিল সে। ডেলিভারির সময় ৪৬ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল হেমন্তের। কথামতো ডেলিভারি বয় ফোনটি ডেলিভারি করতে যান হেমন্তের বাড়িতে। সেই সময় হেমন্ত দাবি করে যে, প্যাকেট খুলে ফোনটি তাকে দেখাতে হবে। তাতে রাজি হন না ডেলিভারি বয়। তিনি জানান, ফোনের প্যাকেট যদি একবার খোলা হয় তাহলে তিনি আর তা ফেরত নিতে পারবেন না। তাই তিনি দাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য হেমন্তকে অনুরোধ করেন। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। বচসার জেরেই হেমন্ত ছুরি হাতে আক্রমণ করে ডেলিভারি বয়কে। বারংবার ছুরির আঘাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। খুনের পর ডেলিভারি বয়ের মৃতদেহ একটি ব্যাগের মধ্যে বাড়ির ভিতরেই রেখে দেওয়া হয়। পরে নিকটবর্তী এক রেলব্রিজের পাশে মৃতদেহ ফেলে দেওয়া যায়। যা পরে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও শুনুন: Audio Blog: নৃশংস পরিণতি শ্রদ্ধা-নিকির, সম্পর্কে বিশ্বাসের ভিতই কি নড়িয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা?
মৃত ওই ডেলিভারি বয়ের নাম হেমন্ত নায়েক। দিন চারেক নিখোঁজ হওয়ার দরুন তাঁর পরিবারের লোক পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেলে পুনরায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান মৃতের দাদা। তদন্ত করতে নেমে পুলিশ হেমন্ত নায়কের ফোন লোকেশন খতিয়ে দেখতে শুরু করে। আর এই সূত্র ধরেই তাঁরা খোঁজ পান হেমন্ত দত্ত নামে বছর কুড়ির ওই তরুণের। তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত নিজেও একসময় ই-কমার্স সাইটে কাজ করত। কিন্তু এক সময় সে চাকরি ছেড়ে দেয়। আই ফোনের অর্ডার সে দিয়েছিল বটে, কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত টাকা তার হাতে ছিল না। আর তাই সে ডেলিভারি বয়কে খুন করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক ডেলিভারি বয়কে খুন করে তাঁর ফোন এবং অর্ডার দেওয়া আই-ফোনটি নিজের কাছেই রেখে দেয়। ডেলিভারি বয়ের কাছে থাকা অন্যান্য সামগ্রীও নিজের কাছেই রেখে দেয় সে। অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ভয়াবহতা চমকে দিয়েছে সকলকে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নিবার লোভ কি ক্রমশ ব্যাধির রূপ নিচ্ছে! সাধ আছে অথচ সাধ্য নেই। এই সংকটই কি মারাত্মক সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে? ভয়াবহ ঘটনা তুলে দিয়েছে সে-প্রশ্নও।