পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষা ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে তোপ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর। পালটা জবাব কুণাল ঘোষের। ধর্মতলা কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতে নওশাদ সিদ্দিকি। অবশেষে রাজ্যের জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা মেটানোর আশ্বাস কেন্দ্রের। শিক্ষা দুর্নীতির জের যোগীরাজ্যেও। নয়ছয় করা হয়েছে সংখ্যালঘু ও দলিতদের প্রাপ্য স্কলারশিপের টাকা। উত্তরপ্রদেশের ৬ জেলা জুড়ে জোর তল্লাশি ইডির। রনজি ফাইনালের তৃতীয় দিনেও প্রতিরোধ বাংলার। বিধ্বস্ত দশাতেও আশা জাগিয়ে রাখলেন মনোজ ও অনুষ্টুপ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. শাসক-বিরোধী সকলেরই পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের জন্য জমি তৈরির মধ্যেই এবার নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। জবাবে পালটা দিল তৃণমূলও।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী। এই ইস্যুতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই তা অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। এদিন এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজ্য সরকারের সবথেকে বড় অপরাধ তারা সরস্বতীর পুণ্যভূমি শিক্ষাকে কেন্দ্র করে সবরকম দুর্নীতি করেছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পড়ুয়াদের জন্য আসা মিড ডে মিলের টাকায় দুর্নীতি। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।” বারবার বাংলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আনাগোনার কারণ ঠিক কী, তা-ও এদিন স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণে প্রধান বিকল্প হিসেবে বাংলার মানুষ বিজেপির সঙ্গে থাকছে, আর সেই কারণেই বারবার বাংলায় আসছেন বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই দাবি তাঁর। যদিও উত্তরপ্রদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
2. মানুষের পাশে দাঁড়িয়েই ক্ষমতা ধরে রাখতে চান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক ফোনেই খড়গপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাট্টা সমস্যা মিটিয়েছেন তিনি। আর বাংলার মতোই মেঘালয়েও সব প্রতিশ্রুতি পালন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সেই কারণেই হয়তো তাঁর কর্মসূচিতে মানুষের জোয়ার। ভোটমুখী উত্তর-পূর্বে দাঁড়িয়েও তাই ভাল ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক।
১৫০ বছর ধরে যে সমস্যার মোটেই সুরাহা হচ্ছিল না, অভিষেকের একটি ফোনের জেরে মাত্র ১৩ দিনেই তা মিটে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় কেশপুরে সভা করতে গিয়ে মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জেনে খান থেকেই তিনি সেচমন্ত্রীকে ফোন করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। আর শনিবার জমির পাট্টা পেয়েছেন খড়গপুরের এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনেও ভাল ফল করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারও একাধিক কর্মসূচিতে এনপিপি সরকারের অপশাসনের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলা মডেলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “আমরা যা বলি, তাই করি। বাংলায় সব প্রতিশ্রুতি পালন করছি।” কথা রাখার আশ্বাস দিয়েই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য মেঘালয়বাসীর কাছে আরজি জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।