বাস্তবে চার হাত এক হয়নি ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা ও তাঁর প্রেমিক ডিম্পলের। তার আগেই কার্গিল যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছিল তরতাজা যুবকের প্রাণ। কিন্তু বাস্তবের বিক্রম ডিম্পল মিলতে না পারলেও, একসঙ্গে সাতপাকে ঘুরলেন পর্দার বিক্রম ডিম্পল, অর্থাৎ সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদবানি। আর সিড-কিয়ারার বিয়ের খবরে আবেগে ভাসলেন বিক্রম বাত্রার যমজ ভাই, বিশাল বাত্রা। কী বলেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আর কিয়ারা আদবানির বিয়ের জন্য অপেক্ষা ছিল গোটা বলিউডের। কিন্তু বিশাল বাত্রার কাছে এ ঘটনার তাৎপর্য আরও বেশি। এ যেন এক অর্থে তাঁর ভাইয়ের স্বপ্নপূরণ, এমনটাই মনে করছেন শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার যমজ ভাই। বাস্তবে বিয়ে করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখলে সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি বিক্রম বাত্রা ও তাঁর প্রেমিকা ডিম্পল চিমা। কিন্তু পর্দায় এই দুজনের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যাঁরা, তাঁরাই এবার একসঙ্গে জীবনের পথ চলা শুরু করলেন। সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার বিয়ের খবরে তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি শহিদ ক্যাপ্টেনের ভাই, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন বিশাল বাত্রা।
আরও শুনুন: এই বয়সেও ‘স্ট্রাগল’ করছেন ধর্মেন্দ্র? প্রশ্ন ফ্যানের, জবাবে বাজিমাত অভিনেতার
বিক্রম ও ডিম্পল দুজনেই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়ে, কিন্তু তাঁদের প্রেমটা ছিল রূপকথার মতোই। যুদ্ধক্ষেত্রের অকুতোভয় সৈনিক, বিক্রম ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন চূড়ান্ত রোমান্টিক প্রেমিক। মাত্র চার বছর সম্পর্কে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। আইএমএ থেকে পাশ করার পর কাশ্মীরে পোস্টিং হয় বিক্রমের। মাঝে মাঝে চিঠি আর কখনও সখনও ট্রাঙ্ক কল, এইভাবেই একে অন্যকে ছুঁয়ে থাকতেন তাঁরা। তারপর সেই অভিশপ্ত কার্গিল যুদ্ধ। যেখান থেকে আর ফিরলেন না ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা। ১৯৯৯ সালের সেই ভয়াবহ যুদ্ধ সব রং কেড়ে নিল ডিম্পলের জীবন থেকেও। বিক্রম এবং ডিম্পল, দুজনের মা-বাবাই বিক্রমের মৃত্যুর পর ডিম্পলকে বারবার বিয়ে করতে অনুরোধ করেছেন। বলেছেন জীবনটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে। কিন্তু বিক্রমের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে একাই রয়ে গিয়েছেন ডিম্পল। ‘টু রিল টু বি রিয়াল’- ডিম্পলের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের গল্প শুনে এই সম্পর্ক নিয়ে এমনটাই মনে হয়েছিল ছবির নায়িকা কিয়ারার।
আরও শুনুন: দেশে নয়া অ্যাজেন্ডা ছড়ালে ছাপ পড়বে সিনেমাতেও, বিজেপিকে সমর্থনের প্রশ্নে জবাব রাজামৌলীর
চণ্ডীগড়ে শুট চলাকালীন ডিম্পলের সঙ্গে কিয়ারার দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন বিশাল বাত্রা-ই। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে যখন এই সিনেমার পরিকল্পনা শুরু হয়, তখনই সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু শুটিং শেষ হওয়ার পরও সেই যোগাযোগ মুছে যায়নি। ‘শেরশাহ’ সিনেমায় বিক্রম-ডিম্পলের চরিত্রকে এই জুটি জীবন দিয়েছিলেন বলে মনে করেন বিশাল। আর সেই সূত্রেই সিদ্ধার্থ কিয়ারার প্রেম দানা বেঁধেছে বলে কানাঘুষো বলি-দুনিয়ায়। বিয়ের রিসেপশনেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ কিয়ারা। সেখানে উপস্থিত হয়ে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার ভাই।