হার্দিক, রোহিত, কোহলিদের খবর তো আমরা সবাই রাখি। এমনকি আইপিএল-এর কোন দলে কে আছে, কার দর কত উঠল সব খবর আমাদের নখদর্পণে। কিন্তু সেই আমরাই কোনও খোঁজ রাখি না আমাদের বাংলা দলের। আগামী বৃহস্পতিবার রনজি ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হবে আমাদের বাংলা আর সৌরাষ্ট্র। চলুন এই আবহে আজ একটু আমাদের ‘বাংলার দ্রোণ’ লক্ষ্মীরতন আর তাঁর সেনাপতি অনুষ্টুপকে নিয়ে কথা বলি।
বাংলা দলটাকে নিজের মতো করে গড়ে নিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এই বঙ্গ দলের তিনিই ক্ষিদ্দা কিংবা চাক দে-র কবীর খান। হেডস্যারের কড়া মেজাজ নয়, বরং বড়দা সুলভ আচরণেই দলের ভিতর নতুন অক্সিজেন জুগিয়েছেন। আর তার সুফল পাচ্ছে বাংলা দল। বিগত বছর গুলিতে বারবার ট্রফির খুব কাছে এসেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলাকে। আক্ষেপ যেমন খেলোয়াড়দের, সমর্থকদেরও। কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছিল আগ্রহ। ভারতীয় ক্রিকেট, আর আইপিএল-এর রংমশালের সামনে বঙ্গক্রিকেট যেন মায়ময় প্রদীপশিখা হয়ে কোনক্রমে জ্বলছিল। সেই শিখাটিকেই সবরকম ঝড়ো হাওয়া থেকে দু-হাতে আগলে রেখেছিলেন লক্ষ্মীরতন। সম্ভ্রম দিয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন মনোজ তিওয়ারিকে। অনুষ্টুপ মজুমদারকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ভূমিকা। গোটা দলটাকেই বেঁধে ছিলেন এক তারে, যে তারে বেজে ওঠে সাফল্যের সুর। তার জন্য শৃঙ্খলা,পরিশ্রম- যা যা দরকার সবই করেছেন। আজ তাই বাংলার ক্রিকেট এক সোনালি সম্ভাবনার মুখোমুখি। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা আবার তাকিয়ে অনুষ্টুপদের দিকে। সাফল্যের সোনালি স্বপ্নে বুঁদ হয়ে বাংলার নবজাগরণেরই সাক্ষী থাকতে বুক বেঁধেছেন সকলে।