বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আচমকা হানা আয়কর দপ্তরের। সরকারকে তোপ বিরোধীদের।আদানি ইস্যুতে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আদালতে ইডি-র বেনজির তোপের মুখে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। চাকরি বাতিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে ৬১৮ জন শিক্ষক। পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ফের সরব কংগ্রেস।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 13 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ভাইকে ‘বিজেপিতে টানার চেষ্টা’ করেছিল শুভেন্দু, তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্কের আবহেই মঙ্গলবার বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে ‘হানা’ দিল আয়কর দপ্তর। জানা গিয়েছে, বিবিসির দুই অফিসে ‘হানা’ দিয়েই কর্মীদের মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে রাতভর এই ‘হানা’ চলতে পারে বলেই খবর। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির দাবি, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই এই ‘আয়কর হানা’। এদিনই বিবিসিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই এই আয়কর হানার ঘটনাকে সহজ ভাবে দেখছেন না বিরোধীরা। মোদি সরকারকে ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’ বলেই তোপ দেগেছে বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি, আদানি ইস্যুতে মোদি সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। অথচ বিবিসির অফিসে আয়কর বিভাগ হানা দিচ্ছে। এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কটাক্ষের সুরে বলেন, “আমরা আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি করছি, অথচ সরকার বিবিসির পিছনে পড়ে রয়েছে।” মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও। একই সুর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর গলাতেও। সরাসরি আদানি ও সেবি-র নাম উল্লেখ করে কেন্দ্র সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ‘আদর্শগত জরুরি অবস্থা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। মোদি ও গুজরাটকে কেন্দ্র করে তথ্যচিত্র প্রকাশ ঘিরে বিতর্ক চলছিলই। সেই বিতর্কই আরও বাড়িয়ে দিল এদিনের আয়কর হানার ঘটনা।
2. আদানি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, আদানি প্রসঙ্গে বিজেপির কিছুই লুকনোর নেই। এদিন এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মন্ত্রী হিসাবে এই নিয়ে আমার কথা বলা উচিত নয়। তবে আদানি প্রসঙ্গে বিজেপি কিছুই লুকোতে চায় না। কোনও কিছুতেই বিজেপির ভয়ের কারণ নেই।” এ বিষয়ে বিরোধীদের দাবি ছিল, মোদির সাহায্যেই একের পর এক ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছেন গৌতম আদানি। অথচ আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে বিরোধীদের এইসব প্রশ্নের মুখে পড়েও একটি শব্দ বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের জবাবে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করলেও আদানি নিয়ে এতদিন কোনও কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। আদানি ইস্যুতে একাধিক সুপ্রিম প্রশ্নের সম্মুখীন হয় কেন্দ্র। এবার সে বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা শুক্রবার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।