‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ পালন করা হিন্দু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এমন দাবিতে সরব হয়েছে বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠী। এবার দুটি কুকুরের বিয়ে দিয়ে অদ্ভুত প্রতিবাদ জানাল এমনই এক হিন্দু সংগঠন। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
রাস্তাঘাটে প্রেম প্রদর্শন হিন্দু সংস্কৃতির পরিপন্থী। ভ্যালেনটাইন্স ডে পালনের নাম করে অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাই নাকি এমন অশালীন আচরণ করে বেড়ায়। এমনই দাবি নিয়ে বার বার ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ উদযাপনের বিরোধিতা করেছে দেশের হিন্দু সংগঠনগুলি। সেই দাবি নিয়েই এবার অদ্ভুত কায়দায় প্রতিবাদ জানাল দক্ষিণ ভারতের এক হিন্দু সংগঠন। ভালোবাসার এই দিনে দুটি পথকুকুরের বিয়ে দিয়ে অদ্ভুত প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: ভালবাসার দিনেও একা? চিন্তা নেই, যুবকের অফারে মিলছে ‘ভাড়ার বয়ফ্রেন্ড’
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিন। পছন্দের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর দিন। প্রেমিক প্রেমিকা কিংবা মনের খুব কাছাকাছি থাকা মানুষ, এই একটা দিন একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর দিন। তবে এমন প্রেম দিবসের উল্লেখ বেদ বা পুরাণে নেই। বলা বাহুল্য, ভারতীয় সংস্কৃতিতে এভাবে বিশেষ দিনে প্রেম উদযাপনের কোনও বালাই নেই বললেই চলে। মূলত পাশ্চাত্যের দেশগুলি থেকেই সারা বিশ্বে সর্বজনীন হয়ে উঠেছে এই ভ্যালেন্টাইন উদযাপন। তবে সারা বছরে একটা দিন যদি কেউ ভালোবাসা উদপযাপনের জন্য রাখে, তাতে তো ক্ষতি নেই কারও। কিন্তু সেকথা মানতে নারাজ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, যে নিয়মের উল্লেখ ভারতীয় সংস্কৃতিতে নেই, তা পালন করা মানেই হিন্দু ধর্মের অপমান করা। তাই ভ্যালেনটাইন্স ডে উদযাপনে তীব্র আপত্তি তাঁদের। এবার সেই আপত্তি জেরেই অদ্ভুত প্রতিবাদে শামিল হয়েছে এক দক্ষিণ ভারতীয় হিন্দু সংগঠন। তামিলনাড়ুর মুন্নানি নামে এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ পথেঘাটে বিভিন্ন রকমের অশালীন আচরণ করে বেড়ায় প্রেমিক-প্রেমিকারা। তাই তাঁদের ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্য নিয়েই এমন অদ্ভুত প্রতিবাদ তাঁদের।
আরও শুনুন: নিজে নয়, প্রেমের চিঠি লিখতে ভরসা অন্য কেউ! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজিতে ঠকলেন কারা?
ঘটনার দিন সকালে দলের সদস্যরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে দুটি পথকুকুরকে রীতিমতো বিয়ের সাজে সাজান। এর জন্য কুকুর দুটির গায়ে লাল ও হলুদ কাপড় জড়িয়ে দেন তাঁরা। পরানো হয় মালাও। একইসঙ্গে একটি কুকুরের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় সিঁদুর। এরপর গাঁটছড়া বাঁধার মতো দুই কুকুরের গায়ে জড়ানো কাপড়ে গিঁট বেঁধে দেন তাঁরা। এভাবেই দুই কুকুরের প্রতীকী বিয়ে দেওয়া হয়। তবে এমন প্রতিবাদের জেরে বিয়ে নামক প্রথার অপমান হয়েছে বলেই মত অনেকের। যদিও প্রতিবাদীদের সে উদ্দেশ্য ছিল না। প্রকাশ্যে প্রেম উদযাপন তাঁদের সংস্কৃতির অপমান করে, তাই যে কোনও প্রকারে তা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর এই সংগঠনের সদস্যরা।