ইংরেজি ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাস ভালোবাসার। প্রেমপ্রস্তাব দেওয়া থেকে আরম্ভ করে মনের মানুষকে জড়িয়ে ধরা, সব কিছুর জন্যই নির্দিষ্ট একটা দিন থাকে এই মাসে। তাই চুম্বনের জন্যেও একটা নির্দিষ্ট দিন থাকা স্বাভাবিক। তবে বছরের এই একটি দিন নয়। নিয়মিত চুম্বন করারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাতেই নাকি সেরে যেতে পারে বিভিন্ন রোগও। কী বলছেন গবেষকরা? আসুন শুনে নিই।
‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলো প্লিজ, ভালোবাসা ভালো থেকো’! সত্যিই, চুম্বন যেন সবসময় ‘ভালো থাকা’-টাকেই ইঙ্গিত করে। ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া যে সবসময় যৌনগন্ধী হবে, এমন কোনও কারণ নেই। সিনেমার পর্দায় হোক কিংবা বাস্তবের মাটিতে, ঠোঁট ঠোঁট রাখা আসলে বলে দেয়, দুজন মানুষ একে অন্যকে ঠিক কতটা ভরসা করেন। তবে শুধু মন নয়। চুমু খেলে ভালো থাকে শরীরও। অন্তত গবেষকদের মত তো তেমনই।
আরও শুনুন: তরুণীর চুম্বন পেতে পারেন অচেনা ব্যক্তিও! ক্রিসমাসের এই প্রথার কথা জানেন?
আসলে চুমু খেলে এক বিশেষ ধরনের হরমোন ক্ষরণ হয়। যা সেরেটনিন হরমোন বা ফিল গুড হরমোন নামে পরিচিত। এই হরমোন আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা হোক কিংবা সাময়িক টেনশন দূর করা, সবকিছুতেই যথেষ্ট কাজ করে এই হরমোন। তাই গবেষকদের মতে নিয়ম করে চুমু খেলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে এখানেই শেষ নয়। চুমু খেলে দেহের রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক থাকে। গবেষকদের মতে নিয়মিত চুমু খেলে ভালো থাকে দাঁতও। কারণ চুমু খাওয়ার সময় মুখের ভিতর অতিরিক্ত লালাক্ষরণ হয়। ফলে দাঁতের উপর কিছু জমে থাকতে পারে না। দাঁতের উপর এই আস্তরণ তৈরি না হলেই দাঁতের কোনও সমস্যা জন্ম নেয় না। কিংবা দাঁতের ভিতর কোনও ক্যাভিটিও তৈরি হয় না। একইসঙ্গে চুমু খেলে উজ্জ্বল হয় ত্বকও। কারণ চুম্বনের সময় মুখের মাংসপেশীর যথেষ্ট সংকোচন প্রসারণ হয়। ফলে ত্বকের নীচে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না। স্বাভাবিক ভাবেই এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আরও বেড়ে যায়। আর সবচেয়ে বড় কথা, কোনও মানসিক চাপ থাকলে তা অনায়াসে মিটিয়ে দিতে পারে ক্ষণিকের চুম্বন। এক তো প্রিয় মানুষটিকে এতটা কাছ থেকে অনুভব করতে পারা। যা মনের মধ্যে অদ্ভুত এক ভরসার জন্ম দেয়। অন্যদিকে চুম্বনের দরুন মস্তিষ্কের ভিতর ক্ষরণ হওয়া অক্সিটসিন হরমোন। সব মিলিয়ে নিয়মিত চুমু খেলে কোনও ক্ষতি তো নেই-ই, বরং লাভ অনেক। তাই শুধুমাত্র প্রেমের বহিঃপ্রকাশ নয়। চুম্বন অবশ্যই খুব কাজের এক ওষুধও। সে অসুখ মনের হোক আর শরীরের।