‘হাওড়ার ম্যানচেস্টারকে ধ্বংস করেছে বামেরা’। একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। ৮০০ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পথে এসএসসি। গ্রুপ-ডি মামলায় ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাই কোর্টের। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও ফের নোটিস অর্মত্য সেনকে। ত্রিপুরায় শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপাচ্ছেন রাজ্যের একাধিক তারকা। মৃত্যু ছাড়াল ১৯ হাজার। ভূমিকম্পের ফলে নিজের জায়গা থেকে সরে গিয়েছে গোটা তুরস্ক।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূল সরকারের অন্যতম লক্ষ্য শিল্পায়ন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার পাঁচলা মোড়ের জনসভা থেকে ফের সেকথা মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় মোট ১৫ জেলার ৯০০-র বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ একাধিক ক্ষেত্রে তিনি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন। তারপরই হাওড়া জেলার ইতিহাসের কথা তুলে ধরে বামেদের নিশানা করতে শোনা গেল তাঁকে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার হিসেবে পরিচিত হাওড়া শিল্পাঞ্চলের পরিবেশ বাম শাসনকালে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে। তাই বর্তমান রাজ্য সরকার এই জেলায় শিল্পবিকাশের জন্য মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে। তাঁর কথায়, “হাওড়ায় শিল্পে জোয়ার এসেছে। শুধু এই জেলাতেই ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ৬৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ইতিমধ্যেই হয়েছে, আরও ২০ হাজার কাজের সংস্থান হবে।” একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাওড়াতেই শুধুমাত্র ৫৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। যার জন্য ৫২৩ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। ৬২ একর জমির উপর ফুড পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ১১৯ টি প্লট বণ্টন করা হবে বলেই খবর। তাতে কর্মসংস্থান বাড়বে বলেই আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় কী কী শিল্প গড়ে উঠেছে, তা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়া জেলাকে MSME হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। এদিনের মঞ্চ থেকে ফুরফুরা শরিফের ১০০ বেডের হাসাপাতালেরও শিলান্যাস করেন তিনি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন যাবৎ নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তারিতে বেশ সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যার জন্য শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। এসবের মাঝেই ফুরফুরা শরিফের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাওড়ার পাঁচলার অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১০০দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দিল না। যদি দিত আমি বলতাম না। বলতাম নিশ্চয়ই দিয়েছে। এগুলো তো আর লোকানো যায় না। ৭ হাজার কোটি টাকা আমরা পাই। আমি বলব গরিব লোকের টাকা মারবেন না। ওরা দেয়নি তাও আমরা রাজ্য সরকারের পয়সা থেকে কাজ করেছি।” তবে শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজের টাকাই নয়, একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের টাকা না পাঠানোর অভিযোগ এদিন শোনা গেল তাঁর মুখে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “গ্রামীণ রাস্তা, আবাস যোজনা, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। পয়সা দেয় না। এরকমভাবে চলতে পারে না। ১১ লক্ষ লোকের বাড়ির টাকা পড়ে রয়েছে। ফুড সাবসিটি কেটে দেওয়া হয়েছে, যাতে গরিব লোক খাবার না পায়। শিক্ষা, রাস্তার টাকা কেটে দিয়েছে। সবাই বলে বাড়ি দিন। দেব কোথা থেকে? বাড়ির টাকা ওরা দেয় না।” এছাড়া রাজ্য থেকে পাওয়া করের টাকার ভাগও দেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ মমতার। অন্যদিকে আদানি ইস্যুতেও আরও একবার সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁর সরাসরি চ্যালেঞ্জ, “তোমরা আমায় গালাগালি দিলে গালে ফোসকা পরবে না। আমি আরও কাজ করব। লড়াই করো। জয় হবেই।” সবশেষে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বিরোধীদের এদিন আরও একবার খোঁচা দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।