নেটদুনিয়া এখন দুভাগে বিভক্ত। যে কোনও প্রসঙ্গে তারকারা মুখ খুলুন বা না খুলুন, তাদের হয় বামপন্থী নয় দক্ষিণপন্থী বলে দাগিয়ে দেওয়াই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে এখানে। এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। ঠিক কী বলেছেন অভিনেত্রী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যে কোনও ইস্যুতে যে কোনও মানুষকে কথা বলার পরিসর তৈরি করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। যেন সেই হিসেব মেনেই, ইদানীং সমাজে কোনও ঘটনা ঘটলেই সকলের অপেক্ষা থাকে যে তারকারা তা নিয়ে কিছু বলছেন কি না। আর কোন ইস্যুতে কে মুখ খুললেন অথবা খুললেন না, এই নিক্তিতে তাঁদের দুই দলে ভাগ করে ফেলে নেটদুনিয়া। সেই শ্রেণিবিভাগের মধ্যেও অবশ্য কোনও নতুনত্ব নেই। স্রেফ একটি কথার ভিত্তিতেই কাউকে সঙ্ঘী অর্থাৎ দক্ষিণপন্থী আর কাউকে নকশাল অর্থাৎ বামপন্থী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই তকমা নিয়েই শুরু হয় ট্রোল। এমনটাই মত অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের। সম্প্রতি এই ইস্যুতে মুখ খুলেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন রবিনা?
সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত দেখা যায় রবিনাকে। তাই বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে মুখ না খোলার জন্য তারকাদের যেভাবে একহাত নিয়ে থাকেন নেটিজেনরা, সে বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। আর তখনই অভিনেত্রী সাফ জানান, কথা বললেই কী আর না বললেই কী, ট্রোল চলবেই। তাঁর মতে, গোটা নেটদুনিয়া এখন ডান এবং বাম এই দুই মতাদর্শে ভাগ হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মতাদর্শে চরমপন্থী হয়ে থাকাটাই এই সময়ের প্রবণতা। সেখানে কারও পক্ষে নিরপেক্ষভাবে মধ্যপন্থায় চলা আর সম্ভব হচ্ছে না, কারণ সেরকম কোনও রাস্তাই আর বাঁচিয়ে রাখা হয়নি বলে মত রবিনার।
আরও শুনুন: দৃষ্টি হারালেও হারাননি জীবনে বিশ্বাস, ‘ভালোই আছি’, প্রাণঘাতী হামলার পর মুখ খুলে বার্তা রুশদির
যদিও রবিনার দাবি, সমালোচনা হোক আর যাই হোক, দেশের হয়ে কথা বলার প্রয়োজন হলে তিনি চুপ করে থাকতে পারেন না। অবশ্য তার জন্য কেবল মতাদর্শ নিয়ে নয়, পেশা নিয়েও তাঁকে ট্রোল শুনতে হয়েছে বলে দাবি অভিনেত্রীর। তিনি অভিনেত্রী, সামাজিক বিষয়ে তিনি কী জানেন- এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাঁকে পালটা দিয়েছেন। কিন্তু সেইসব কটাক্ষে চুপ করে যেতে নারাজ রবিনা। তাঁর সাফ কথা, আমি কি এই দেশের নাগরিক নই? আমি কি এই দেশকে কর দিই না? আমার সন্তানেরা কি এই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নয়? তাহলে দেশের জন্য কথা বলার অধিকার আমার থাকবে না কেন? শুধু তাই নয়, গায়ে পড়ে কোনও মানুষের কথা বলার গণ্ডি বেঁধে দেওয়া যায় না বলেই মনে করেন অভিনেত্রী।
আরও শুনুন: ‘বয়কট গ্যাং’-এর সঙ্গে ছায়াযুদ্ধে জয়, কোন মন্ত্রে হাসিল শাহরুখের?
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যে সব বিষয়ে সকলেই কথা বলতে পারেন, সেই বিষয়টির একইসঙ্গে ভাল এবং খারাপ দুটি দিক রয়েছে, এমনটাই মত অনেকের। নেটদুনিয়ার মেরুকরণের কথা বলে আরও একবার সেই প্রসঙ্গই উসকে দিলেন রবিনা ট্যান্ডন।