বয়স মাত্র ৯। অথচ এইটুকু বয়সেই হাইস্কুলের গণ্ডি পার করেছে এক খুদে। ভবিষ্যতে মহাকাশবিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নও দেখছে সে। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সাফল্য দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনরা। কীভাবে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করল সে? আসুন শুনে নিই।
ছোটবেলায় পড়াশোনা করতে কার ভালো লাগে বলুন! সকালে উঠে স্কুলে যাওয়া হোক কিংবা বিকেলে প্রাইভেট টিউশন, বেশিরভাগ খুদেই এসব কাজ করতে একাবারে পছন্দ করে না। কিন্তু সেই তালিকায় ব্যতিক্রম এই ৯ বছরের ছেলেটি। যাকে বিস্ময় বালক বললেও বোধহয় ভুল হয় না। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তার অমোঘ টান। বয়সের দিক দিয়ে সে ১০-এর গণ্ডিও পার করেনি। কিন্তু মাত্র ৯ বছর বয়সেই সে হাসতে হাসতে পার করে ফেলেছে হাই স্কুলের গণ্ডি। শুনতে অবাক লাগলেও, সত্যি! খুদের এহেন আশ্চর্য কৃতিত্বে কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই।
আরও শুনুন: স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর উপার্জনই বেশি, বলিউডের বেতন বৈষম্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন এই তারকা দম্পতিরা
জানা গিয়েছে, ডেভিড বালোগান নামের ওই খুদের বাস পেনসিলভ্যানিয়াতে। সম্প্রতি তার অসাধারণ মেধার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এইটুকু বয়সেই অঙ্কে তুখোড় এই বিস্ময় বালক। একইরকমভাবে পারদর্শী কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এও। তবে তার পছন্দের বিষয় মহাকাশ বিজ্ঞান। ভবিষ্যতেও সে বিষয়েই পড়াশোনা করতে চায় সে।
কিন্তু এইটুকু বয়সে স্কুলের পাঠ কী করে শেষ করল সে?
আরও শুনুন: দুহাতে ১১ রকমের হাতের লেখা, কিশোরীর কীর্তিতে অবাক নেটিজেনরা
নেপথ্যে অবশ্যই অনলাইন ক্লাস। যার সুবিধা তাকে দিয়েছিল রীচ সাইবার চ্যাপ্টার স্কুল। ক্লাস থ্রি-তে পড়ার সময়ই তার নাকি উঁচু ক্লাসের বই পড়ার শখ জাগে তার। সে কথা জানার পর তার জন্য এক বিশেষ কোর্স শুরু করে স্কুল। যেখানে একেবারে গোটা হাই স্কুলের সব ক্লাসের সিলেবাস পড়ার সুযোগ পায় সে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই এমন অসাধ্য সাধন করেছে ডেভিড। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই কৃতিত্বের জেরে বেজায় খুশি তার পরিবারের সদস্যরা। উলটোদিকে ডেভিডও নিজের সাফল্যের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। হাই স্কুলের পাঠ শেষ করে সে এখন ভরতি হয়েছে কলেজে। সেই পাটও শীঘ্র মিটিয়ে ফেলাই এখন তার প্রধান লক্ষ্য। তবে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়। নিজের এহেন বিস্ময়কর প্রতিভার জোরে গিনেস বুকের পাতাতেও নাম তুলে ফেলেছে সে। সেখানে তাকে সবচেয়ে কমবয়সি গ্রাজুয়েট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পড়তে ভালবাসলেও সারাক্ষণ মোটেই বইমুখো হয়ে থাকে না এই খুদে। খেলাধুলো করতেও বেজায় ভালোবাসে সে। বেসবল, ক্যারাটে সহ একাধিক খেলার সঙ্গেও সে যুক্ত। খেলার মতোই পড়াও তার কাছে একটা অনায়াস বিষয়, যা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের গর্ব করতে তার অনীহা। ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার লক্ষ্যই আপাতত তার পাখির চোখ, এমনটাই জানিয়েছে এই বিস্ময় বালক।