চাষ করতে যান বিকিনি পরেই। ওই একই পোশাকে সামলান খামারের যাবতীয় কাজকর্মও। তাই নিজেকে ‘বিকিনি কৃষক’ বলতেই ভালবাসেন এই তরুণী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক তাঁর গল্প।
সাধারণভাবে স্নানের পোশাক বলেই বিকিনির পরিচয়। কিন্তু এই তরুণী তাকেই কাজে লাগিয়েছেন অন্যভাবে। চাষের কাজ, কিংবা পশুপালন, যাই করুন না কেন, সব কাজের সময়ই তাঁর পোশাক বিকিনি। আর এই পোশাকের সূত্রেই নিজেকে আলাদা করে চেনাতে চান তিনি। তাই নিজেকে ‘বিকিনি কৃষক’ বলতেই ভালবাসেন এই তরুণী। যদিও এহেন পোশাক নির্বাচনের কারণে আলটপকা মন্তব্যও যে তাঁর কানে ভেসে আসে না এমন নয়। তবে সেসবকে মোটেই পাত্তা দিতে রাজি নন তিনি।
আরও শুনুন: একুশে আইন! প্রকাশ্যে নাচ ‘বেশ্যাবৃত্তি’র শামিল, ১০ বছরের জেলের সাজা যুগলের
আসলে সমাজের বাঁধাধরা ছকে পোশাকেরও একরকম নিয়ম বেঁধে দেওয়া আছে। কার, কোথায়, কেমন পোশাক পরা উচিত, সেই বিষয়ে মোটামুটি একটা নিয়মকানুন তো রয়েইছে। সেই হিসেবেই, মাঠেঘাটে কাজ করা কিংবা পশুপাখির খামার পরিষ্কার করার কাজে সাধারণ জামাকাপড়ই পরেন সকলে। যাতে নোংরা লাগলেও সমস্যা না হয়। সেখানে বিকিনি খোলামেলা পোশাক হলেও আদতে কায়দার পোশাকই বটে। সমুদ্রসৈকত কিংবা সুইমিং পুলেই তার গতিবিধি নির্ধারিত। কিন্তু সেই বেঁধে দেওয়া নিয়মকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন এই তরুণী। নিজের একটি ফার্ম রয়েছে তার। সেখানে চাষআবাদ থেকে ঘোড়ার আস্তাবল পরিষ্কার করা, সব কাজই নিজে সামলান তিনি। এহেন পোশাকের কারণে তাঁর কাজে কোনও সমস্যা হয় না বলেই মত ওই তরুণীর।
আরও শুনুন: খোলামেলা ছবিতেই কোটি টাকা রোজগার! শরীরকে পুঁজি করেই গরিবদের সাহায্য করতে চান এই মডেল
ফার্মের কাজকর্ম নিয়ে একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভাগ করে নেন ওই তরুণী। আর সেখানেই তাঁকে এই পোশাকে দেখে মন্তব্যের ঝড় বয়ে গিয়েছে। নেটিজেনদের অনেকেই ব্যঙ্গবিদ্রুপ ছুঁড়ে দিয়েছেন তাঁর দিকে। এই পোশাকে এমন কাজ করার দরকার কী, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদের কেউ কেউ। কেউ বাঁকা মন্তব্য করেছেন, এতই যদি গরম লাগে তো পোশাক পরারই কী দরকার! কিন্তু এসব মন্তব্যে কান দেননি ওই তরুণী। তাঁর সাফ জবাব, মেয়েরা কী পোশাক পরবে সে সিদ্ধান্ত মেয়েদের ব্যক্তিগত। আর কে কীভাবে তাদের দেখবে, সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়েই মেয়েদের পোশাক নির্বাচন করা উচিত, এমনটাই মনে করেন বলে জানিয়েছেন ‘বিকিনি কৃষক’।