ছবি বিতর্কের আবহেই দলবদলের জল্পনা ওড়ালেন হিরণ। তুললেন ছবি বিকৃতির অভিযোগ। এনামুলের নাম জড়িয়ে বিস্ফোরক দেবের বিরুদ্ধেও। পালটা অভিষেকের। বগটুই কাণ্ডে অর্থসাহায্য নিয়ে শুভেন্দুকে জবাব অভিষেকের। বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু-বিনয় যোগ নিয়েও। জিটিএ থেকে মোর্চার সই প্রত্যাহার নিয়ে সরব অনীত থাপা। রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেন’ হল ‘অমৃত উদ্যান’।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ভাঙনের মুখে জিটিএ, সই প্রত্যাহার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার
আরও শুনুন: 26 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের, ‘বর্ণপরিচয়’ উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা ওড়ালেন বিজেপি বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, বিজেপিতেই থাকবেন তিনি। কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির সঙ্গে তাঁর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয় দলবদলের জল্পনা। এদিন সেই ছবি প্রসঙ্গে হিরণের দাবি, যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা পুরোপুরি ভুয়ো। তাঁর মতে, প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভুল ছবি ছড়ানো হয়েছে। তবে হিরণের এই বক্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, “আমি যদি হিরণের জায়গায় হতাম, কেউ যদি আমার ছবি বিকৃত করত সেক্ষেত্রে আমি দুটো কাজ করতাম। প্রথমত, মানহানির মামলা, দ্বিতীয়ত, ক্রিমিনাল কেস করতাম। আমি হিরণকে বলব, কেস করুন। ওঁর উচিত মামলা করা। তাহলেই দেখে নেওয়া যাবে উনি কোথায় ছিলেন।” অন্যদিকে দেবের সিনেমায় গরু পাচারের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন হিরণ। এ প্রসঙ্গে সিনেমাটিতে মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় করা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দোষী সাব্যস্ত হলে জেল হতে পারে দেবের এবং সিনেমার পারিশ্রমিক ফেরত দিতে হবে মিঠুনকে। এই দাবিরও পালটা দিতে ছাড়েননি অভিষেক। ‘আগে নিজের দলের মিঠুন চক্রবর্তীকে বোঝান, তারপর দেবকে বলতে আসবে’- এই বলেই হিরণের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন অভিষেক।
2. মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘আর্থিক অপরাধের’ অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার তার পালটা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর দাবি ছিল, বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারকে অর্থসাহায্য করা হয়েছে মিড-ডে মিল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে। এরই উত্তরে অভিষেকের পালটা প্রশ্ন, ‘মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আর্থিক সহযোগিতা করা কী তাহলে ভুল?’ তাঁর সাফ কথা, “যেখান থেকেই যাক, টাকা তো সরকারেরই। একটা পরিবারের পাশে সরকার না থাকলে কে দাঁড়াবে?” এরপরই কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে এত মানুষ মারা গেল। নোটবন্দির সময় লাইনে দাঁড়িয়ে স্ট্রোকে কত লোক মারা গেল। ওরা কারও পাশে দাঁড়ায় না। মিড ডে মিলের টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে কিনা, তা জেলা প্রশাসন পর্যালোচনা করবে। আমরা তো টাকা দিয়ে প্রচার করিনি। বিমান কিনিনি। ওরা নিজেদের প্রচার করতে, বিমান কিনতে টাকা খরচ করে। যেখানে মানুষ খেতে পায় না, সেখানে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ কী?”একইসঙ্গে কয়লা-গরু পাচারে শুভেন্দু-যোগ নিয়েও এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন অভিষেক। চক্রের অন্যতম বিনয় মিশ্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর, এমনটাই দাবি তাঁর। দুজনের কথোপকথনের দুটো অডিও ক্লিপ রয়েছে তাঁর কাছে। প্রয়োজনে তা আদালতে জমা দিতেও তৈরি তিনি। বিরোধী দলনেতার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, “কয়লা কেলেঙ্কারি, গরু পাচার, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারলে, আমি মৃত্যুবরণ করব। এবার শুভেন্দু বলুন, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ওঁর কথা হয়নি।” শুভেন্দুর বিশ্বাসঘাতকতা তিনি ধরে ফেলেছিলেন বলেই, নাম না করেও তাঁর বিরুদ্ধে সরব বিরোধী দলনেতা, এমনটাই দাবি তাঁর। তবে শনিবার ডায়মন্ডহারবার থেকে বিরোধী দলনেতার তোলা সমস্ত অভিযোগ কার্যত এককথায় নস্যাৎই করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।