৭০ বছর বয়সি বৃদ্ধ বিয়ে করেছেন তাঁর বিধবা পুত্রবধূকে। যাঁর বয়স মাত্র ২৮। এমনকি তাঁরা এই বিয়ের পর্ব সেরেছেন একেবারেই লুকিয়ে। ঘুণাক্ষরেও এই কাণ্ডের কথা জানতে দেননি গ্রামের কাউকে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? আসুন শুনে নিই।
পাত্রের বয়স ৭০। পাত্রীর বয়স ২৮। বয়সের পার্থক্য এত বেশি হওয়া সত্ত্বেও বিয়ে করেছেন তাঁরা। তবে এখানেই চমকের শেষ নয়। বৃদ্ধ স্বামী একইসঙ্গে তরুণীর প্রাক্তন শ্বশুরমশাই। যিনি তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পর বিধবা পুত্রবধূকেই বিয়ে করেছেন। যদিও এমন অদ্ভুত কাণ্ডের কথা প্রথমে কাউকে কিছু জানতে দেননি তাঁরা। তবে তাঁদের বিয়ের একটি ছবি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। যা দেখার পর রীতিমতো অবাক হয়েছেন সকলেই।
আরও শুনুন: ‘সরকারি চাকুরে পাত্রী চাই’, বিয়ের জন্য পোস্টার হাতে রাস্তায় ধরনা ব্যক্তির
ঘটনাটি ঘটেছে গোরক্ষপুরের ছাপিয়া উমরাও গ্রামে। গ্রামেরই বাসিন্দা কৈলাস যাদব রয়েছেন ঘটনার কেন্দ্রে। প্রায় ১২ বছর ধরে কৈলাস বিপত্নীক। তিন ছেলে আর বউমাদের নিয়েই ছিল তাঁর সংসার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছুদিন আগে তাঁর ছোট ছেলে মারা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছেলের স্ত্রী পূজা বাপের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বাড়ির বউয়ের চলে যাওয়ার ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি কৈলাসের। তিনি আবার পূজাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসেন। এবং সেখানেই থাকতে শুরু করেন পূজা। এতদূর পর্যন্ত দেখে কারও মনেই কোনও সন্দেহ হয়নি। পাড়া প্রতিবেশী-সহ পরিবারের লোকজনও এই ব্যাপারটিকে খুবই স্বাভাবিক ভাবেই দেখেন। কিন্তু সম্প্রতি পূজা ও কৈলাসের একটি ছবি দেখে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ। ভাইরাল ওই ছবিটিতে দেখা গিয়েছে সিঁথি ভর্তি সিঁদুর নিয়ে কৈলাসের পাশে বসে রয়েছেন পূজা। তাঁদের দুজনের গলাতেই রয়েছে ফুলের মালা। এবং কৈলাসের একটি হাত পূজার মাথার উপর রাখা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবি দেখে সকলেই বুঝতে পারেন যে, তাঁরা বিয়ে করেছেন। কিন্তু কখন কোথায় এই বিয়ের অনুষ্ঠান তাঁরা সেরেছেন, সে-কথা সবারই অজানা। এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।
আরও শুনুন: শিকার করতে গিয়ে নিজেই শিকার! রাইফেল চালাল কুকুর, গুলিতে ঘায়েল যুবক
ছবিটি নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনেরও। কীভাবে বয়সে এত ছোট একজনকে বিয়ে করলেন কৈলাস, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে তাঁরা পারস্পরিক সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি বিধবা পুত্রবধূর যন্ত্রণা ঘোচাতেই এই সিদ্ধান্ত কৈলাশ নিয়ে থাকেন, তাহলেও বয়সের এই ফারাক যে বেশ অস্বস্তিকর, তা বলাই যায়। আর তাই পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।