জিটিএ চুক্তি থেকে বেরোতে চেয়ে সই তুলে নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি পাঠানো হল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে। উপাচার্যের বিতর্কিত মন্তব্যের আবহেই ফের জমি ফেরানোর দাবি। পুরনো নথি-সহ অমর্ত্য সেনকে নতুন চিঠি বিশ্বভারতীর। বইমেলা উপলক্ষে ইস্ট-ওয়েস্ট শাখায় মিলবে বাড়তি মেট্রো। যোশিমঠের পরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গোটা উত্তরাখণ্ড।সিন্ধু জলচুক্তিতে বদলের দাবিতে পাকিস্তানকে নোটিস পাঠাল ভারত। পেশাদার টেনিস জীবনে ইতি টানলেন সানিয়া মির্জা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের, ‘বর্ণপরিচয়’ উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
আরও শুনুন: 25 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- জমি দখল ইস্যুতে অর্মত্য সেনকে পরোক্ষে তোপ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
বিস্তারিত খবর:
1. জিটিএ চুক্তি থেকে বেরতে চেয়ে সই তুলে নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শুক্রবার সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে দলের তরফে। যা ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছেছে বলে খবর। শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়েছেন, জিটিএ তৈরি করা হয়েছিল পাহাড়ে গোর্খা জনজাতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এত বছরেও তা কোনওভাবেই গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ করেনি। সেই কারণেই জিটিএ থেকে বেরতে চায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১১ সালে কেন্দ্র, রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল, সেই জিটিএ চুক্তি পরবর্তীতে আইনে পরিবর্তিত হয়ে যায়। কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এহেন পদক্ষেপের ফলে তা ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে গত ২৩ জানুয়ারি কালিম্পংয়ের একটি জনসভায় একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল বিনয় তামাং, বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডকে। এতদিন পর্যন্ত তিনজনের রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল পৃথক। কিন্তু এখন পাহাড়ের উন্নয়নের দাবিতে আলাদা গোর্খাল্যান্ড চেয়ে এক সুর শোনা যাচ্ছে তাঁদের গলায়। এরপরেই মোর্চার জিটিএ চুক্তি থেকে বেরতে চাওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈরথ বাড়ল আরও। উপাচার্যের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার মাঝেই জমি ফেরানোর দাবিতে পুরনো নথি-সহ চিঠি পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যত দ্রুত সম্ভব, ‘দখল’ করা জমি ফেরানোর দাবি করা হয়েছে সেই চিঠিতে।
বিশ্বভারতীর দাবি, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ ঘিরে ১.২৫ একর জমির বদলে ১.৩৮ একর জমি রয়েছে। অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল জমি বেআইনিভাবে দখল করা বলে অভিযোগ তুলে ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনকে প্রথমবার চিঠি দেয় বিশ্বভারতী। কর্তৃপক্ষর দাবি, ওই ১৩ ডেসিমেল জমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাই তা ফিরিয়ে দিতে হবে। চলতি বছরে গত ২৪ জানুয়ারি তাঁকে জমি ফেরতের জন্য আবার চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী। তার ঠিক ২ দিনের মধ্যেই একই ইস্যুতে ফের নোবেলজয়ীকে চিঠি পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে ২০০৬ সালের পুরনো চিঠিটিও জুড়ে দেওয়া রয়েছে। এর মধ্যেই আবার অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সব মিলিয়ে জমি ইস্যুতে বিতর্কের জল গড়াল আরও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।