পর্নদুনিয়া থেকে বিদায় নিলেও মিয়া খালিফার জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে করা তাঁর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় চর্চা। ঠিক যেমন, এবার ব্রিটিশ পুরুষদের খোঁচা দিয়েছেন মিয়া। যা নিয়ে ফের সরগরম নেটদুনিয়া। ঠিক কোন প্রসঙ্গে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মিয়া? আসুন শুনে নিই।
পুরুষদের নানা ব্যবহার নিয়ে টুকটাক কটাক্ষ করতে কসুর করেন না তিনি। মিয়া খালিফা। পর্নদুনিয়ায় এক সময় চুটিয়ে কাজ করেছেন। পৃথিবীর বহু পুরুষের কাছে এখনও তাঁর ওই একটি পরিচয়ই বেশি গুরুত্ব পায়। তবে পেশাগত ভাবে সে দুনিয়া ছেড়ে এসে, পুরুষদের নিয়ে দেদার মজা-রসিকতাও করে থাকেন তিনি। মাঝেমধ্যে তাতে মিশে থাকে সমালোচনার ঝাঁজও।
আরও শুনুন: শরীরে পোশাক প্রায় নেই, অনেকের সামনেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়, কী অভিজ্ঞতা ভূমির?
এই তো দিনকয়েক আগের কথা। কমবয়সি মেয়েদের প্রতি পুরুষদের আকৃষ্ট হওয়া নিয়ে একহাত নিয়েছিলেন মিয়া। বলেছিলেন, এই ধরনের পুরুষরা আসলে ‘যৌন শিকারি’। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন মিয়া। তাঁর মতে, ১৮ বছর বয়সের মেয়েদের শরীর সম্পূর্ণভাবে পরিণত হয় না। বিশেষ করে তাদের যৌনাঙ্গের গঠন তখনও নাবালিকার মতোই থাকে। কেবল যৌনতার দিক থেকে নয়, তিনি মনে করেন, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিণত বোধবুদ্ধিও এই পর্যায়ে তাদের থাকে না। সুতরাং এই বয়সের মেয়েদের সঙ্গে যেসব পুরুষেরা সম্পর্কে জড়ায়, তাদের যৌন শিকারি হিসেবেই চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন মিয়া। পর্নছবিতে যাঁর দিকে তাকিয়ে থেকেছে পৃথিবীর তাবৎ পুরুষ, মিয়ার মুখে এ-কথা শুনে তাঁরা একটু হাঁ হয়ে গিয়েছিলেন। আর মিয়া বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পেশাগত অতীত ভুলে, পুরুষদের ভুলচুক বা অবাঞ্ছিত ব্যবহারের দিকে সমালোচনার খাঁড়া তুলে ধরতে তিনি দ্বিধা করবেন না। সেই মিয়াই এবার খোঁচা দিলেন ব্রিটিশ পুরুষদের।
আরও শুনুন: ভেঙেছে প্রেম, সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে সমক্ষে এসে প্রেমিকের উপর ‘বদলা’ মডেলের
সম্প্রতি বিকিনি পরে ধরা দিয়েছেন মিয়া খালিফা। বিকিনিতে আয়েশি মেজাজে তাঁর অবসর কাটানোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নেটদুনিয়ায়। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়েছে এই ভিডিওর ক্যাপশন। সেখানে তিনি যা বলেছেন, তার অর্থটা দাঁড়ায় এই যে, সূর্য উঠলেই মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ব্রিটিশ পুরুষদের যেভাবে দেখা যায়। অর্থাৎ ব্রিটিশ পুরুষরা যেভাবে খোলা গায়ে সানবাথ নেন, তিনিও ঠিক একই কায়দায় অবসর কাটাচ্ছেন। শোনা যায়, এমনিতে ব্রিটেনকে তিনি বেশ পছন্দ করেন। মিয়ামির থেকেও নাকি তাঁর বেশি পছন্দের জায়গা হিসাবে হুইটস্টাবল-কেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এর আগেও তিনি এই জায়গার প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা জানিয়েছেন। সম্ভবত সেখানেই এই ভিডিওটি শ্যুট করা হয়েছে। তবে ভিডিওতে যতই লাস্যময়ী হয়ে মিয়া ধরা দিন না কেন, কথা শুরু হয়েছে তাঁর ভিডিও-র ক্যাপশন নিয়ে। ‘সানবাথ’ সে মুলুকে বেশ চালু রেওয়াজ। প্রায়শই ব্রিটিশ পুরুষদের এই কাজ করতে দেখা যায়। এদিকে যত প্রগতিশীলই হোক না কেন, নগ্নতা নিয়ে নারীদেরই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। নগ্নতা তো দূরের কথা, খোলামেলা পোশাক পরার জন্যও মহিলাদের পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই নানারকম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। পেশাগত ভাবে পর্নদুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য, এই সমালোচনার কথা বেশ ভালই জানেন মিয়া। আর তাই এই সুযোগে নগ্নতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পালটা সমালোচনা ছুড়ে দিয়েছেন মিয়া। সানবাথ নেওয়ার জন্য পুরুষরা যেভাবে খোলামেলা হয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারেন, সেভাবেই আসতে পারেন মহিলারাও। ক্যাপশনের মৃদু খোঁচাতে সে কথাটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন মিয়া।
পর্নদুনিয়া ছেড়ে এলেও জনপ্রিয়তার সাম্রাজ্য হারাননি মিয়া। নতুন রকমের কাজকর্মে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে। আর থেকে থেকেই চর্চায় এসেছে তাঁর মন্তব্য। এখনও এতটাই জনপ্রিয় তিনি যে, বিশ্বের পর্নস্টারদের মধ্যে তাঁকেই খোঁজা হয় সবথেকে বেশি। সেই মিয়ার খোঁচা ব্রিটিশ পুরুষদের বুকে যে ভালই বিঁধবে, তা বলাই যায়।